বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সেমির স্বপ্ন শেষ টাইগারদের

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:০১ এএম, ৩ জুলাই ২০১৯ বুধবার

ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে খেলার যে স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ, সেখানে জল ঢেলে দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার বার্মিংহামের এজবাস্টনে মাশরাফী বাহিনীকে ২৮ রানে হারিয়েছে কোহলিরা। ভারতের ছুঁড়ে দেয়া ৩১৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ২৮৬ রান। 

এই হারের ফলে ৮ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে সাতে নেমে গেল বাংলাদেশ। ৮ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে গেল ভারত। তবে ৮ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। 

এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় দলপতি বিরাট কোহলি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান তোলে ভারত।

 

ভারতের হয়ে ওপেনিংয়ে রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল মিলে করেন ১৮০ রান। বোলিংয়ে এসে নিজের তৃতীয় ও ইনিংসের ৩০তম ওভারে রোহিত শর্মাকে আউট করেন সৌম্য সরকার। আউট হওয়ার আগে রোহিত শর্মা বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১০৪ রানে। ৯২ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও পাঁচটি ছক্কা। 

দলীয় ১৯৫ রানের মাথায় বিদায় নেন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল। রুবেল হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হন তিনি। তার আগে ৯২ বলে ছয়টি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৭৭ রান। দলীয় ২৩৭ রানের মাথায় আউট হন বিরাট কোহলি। ইনিংসের ৩৯তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে মিড উইকেটে রুবেলের হাতে ধরা পড়েন কোহলি। সাজঘরে ফেরার আগে ২৭ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে কোহলি করেন ২৬ রান। এক বল পরেই ফিজের বলে বিদায় নেন হার্দিক পান্ডিয়া। 

এরপর দলীয় ৪৫তম ওভারের প্রথম বলে সাকিব ফিরিয়ে দেন রিশবকে। ৪১ বলে ছয়টি চার আর একটি ছক্কায় ৪৮ রান করে মোসাদ্দেকের হতে বন্দি হন রিশব পান্ত। সাকিব নিজের শেষ ওভারে গিয়ে প্রথম উইকেট পান। ইনিংসের ৪৮তম ওভারে মোস্তাফিজ ফিরিয়ে দেন দীনেশ কার্তিককে। ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিজের অফকাটারে কাটা পড়েন কার্তিক। দলীয় ২৯৮ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারায় ভারত। শেষ ওভারে মোস্তাফিজ তুলে নেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। সাকিবের হাতে ধরা পড়ার আগে ধোনি ৩৩ বলে চারটি বাউন্ডারিতে করেন ৩৫ রান। শেষ ওভারে রান আউট হন ভুবনেশ্বর কুমার। শেষ বলে মোস্তাফিজ বোল্ড করেন শামিকে।

 

সাকিব ১০ ওভারে ৪১ রান খরচায় তুলে নেন একটি উইকেট। সৌম্য সরকার ৬ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। রুবেল হোসেন ৮ ওভারে ৪৮ রানে নেন একটি উইকেট। মোস্তাফিজ ১০ ওভারে ৫৯ রানে তুলে নেন পাঁচটি উইকেট।

৩১৫ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ের শুরুটা করেন তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় দশম ওভারে বিদায় নেন তামিম। ২২ রান করে মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হন তিনি। দলীয় ৭৪ রানের মাথায় বিদায় নেন সৌম্য সরকার। ৩৮ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ৩৩ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে কোহলির হাতে ধরা পড়েন সৌম্য।

এরপর জুটি গড়েন সাকিব-মুশফিক। ইনিংসের ২৩তম ওভারে ৪৭ রানের জুটি ভাঙেন চাহাল। ২৩ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ২৪ রান করে মোহাম্মদ শামির হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। দলীয় ১২১ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৬২ রানের মাথায় বিদায় নেন লিটন দাস। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে সাজঘরে ফেরার আগে ২৪ বলে করেন ২২ রান। এরপর মোসাদ্দেক হোসেন এসে করেন মাত্র ৩ রান। হার্দিকের বলে দীনেশ কার্তিকের হাতে ধরা পড়ার আগে সাকিব করেন ৬৬ রান। 

এরপর সাব্বির-সাইফ দলকে টেনে নিয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৬৬ রান। ইনিংসের ৪৪তম ওভারে বুমরাহর বলে বোল্ড হন সাব্বির। বিদায়ের আগে ৩৬ বলে পাঁচটি চারে ৩৬ রান করেন সাব্বির। ভুবনেশ্বর কুমারের করা ৪৫তম ওভারে বিদায় নেন ৫ বলে এক ছক্কায় ৮ রান করা অধিনায়ক মাশরাফি। এরপর রুবেল ৯ রান করে বিদায় নেন। ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন সাইফ।

 

ভারতের পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ ১০ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে তুলে নেন চারটি উইকেট। ১০ ওভারে ৬০ রান খরচায় তিনটি উইকেট তুলে নেন হার্দিক পান্ডিয়া।