বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনিয়োগে নিরাপদ বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:০৪ এএম, ৩ জুলাই ২০১৯ বুধবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বহুগুণে শক্তিশালী। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের নিরাপদ ঠিকানা।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলে চীনের দালিয়ানে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোটে বাংলাদেশের সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর আগামী নির্মাণ করতে চায়।

 

এর আগে, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের আমন্ত্রণে ৫ দিনের সরকারি সফরে লিয়াওনিং প্রদেশের  দালিয়ানে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।  প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে দালিয়ানে ঝাউশুইজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে অবতরণের পর চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় দালিয়ান সিটির মেয়র তান চেংজু উপস্থিত ছিলেন।

বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে শাংরি-লী হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।  দালিয়ান সফরে তিনি এখানেই অবস্থান করবেন।

সফরে প্রধানমন্ত্রী দালিয়ানে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডাব্লিউইএফ) বার্ষিক সভায় অংশ নেবেন এবং বেইজিংয়ে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ও প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

ডাব্লিউএফই সামার দেভোস হিসেবে পরিচিত তিন দিনের ‘ডাব্লিউএফই এনুয়াল মিটিং অব দ্য নিউ চ্যাম্পিয়ন্স ২০১৯’ আজ চীনের দালিয়ান নগরীতে শুরু হচ্ছে।

 

প্রধানমন্ত্রী ২ জুলাই সকালে দালিয়ান আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডাব্লিউইএফ সামার দেভোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি ক্লাউস স্কোয়াবের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন এবং বিকেলে তিনি দালিয়ানে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কো-অপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ বিষয়ক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন।

প্রধানমন্ত্রী ৩ জুলাই বেলা ১১টায় চীন সরকারের দেয়া একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটযোগে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে  দালিয়ান ত্যাগ করবেন। ফ্লাইটটির ওই দিনই দুপুর সোয়া ১২টায় বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর পর একটি মোটরশোভা যাত্রায় তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ডাইয়াউতাইয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে সফরে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বেইজিংয়ে বিকেলে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে নৈশভোজ সভায় যোগ দেবেন। শেখ হাসিনা ৪ জুলাই সকালে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপল এ বীরদের স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লী কেকিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপল’এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

 

তিনি একই দিনে বিকেলে সিসিপিআইটিতে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বাণিজ্য রাউন্ড টেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ জুলাই সকালে ‘প্যানগোয়াল ইনস্টিটিউশন’ নামে একটি চীনা থিঙ্ক ট্যাংক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার কর্মসূচি রয়েছে।

চীনা কোম্পানিগুলোর সিইওরা তার হোটেল স্যুটে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং তিনি এনপিসি লী ঝাংশুর চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ডাইয়াউতাইয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট ঝি জিনপিংর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি একই স্থানে চীনা প্রেসিডেন্টের দেয়া এক ভোজ সভায় যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী চীনে তার সফর শেষে ৬ জুলাই স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে চীনের রাজধানী বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন এবং একই দিনে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।