স্বপ্নের সেতু খুলবে ২০২০ সালে
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:০৬ এএম, ৩ জুলাই ২০১৯ বুধবার
পদ্মা সেতু নির্মাণ একসময় বাংলাদেশের জন্য শুধু স্বপ্ন থাকলেও সেটি এখন বাস্তব। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে সেতুর ৭০ ভাগ কাজ। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
গেল শনিবার ১৫ ও ১৬ নম্বর খুঁটির ওপর বসেছে ১৪ তম স্প্যান। এই স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ২ হাজার ১০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মা সেতু। এরই মধ্যে সেতুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ পাইল ডাইভিংও শেষ হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় সেতুর প্রথম স্প্যান। এই স্প্যান বসানোর পরেই দৃশ্যমান হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এরপর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয় দ্বিতীয় স্প্যান।
অন্যদিকে তৃতীয় স্প্যান বসানো হয় গত বছরের ১১ মার্চ। একই বছরের ১৩ মে চতুর্থ, ২৯ জুন পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়। এরপর চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি বসানো হয় ষষ্ঠ স্প্যান। সবশেষ শনিবার সেতুর ওপর বসানো হয়েছে ১৪ তম স্প্যান।
প্রকল্প সুত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে এরই মধ্যে ২৯টি পিলার তৈরি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন দ্রুতই একের পর এক বসে যাবে স্প্যান।
এ বিষয়ে সেতুর একজন প্রকৌশলী ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, এ পর্যন্ত ১৪টি স্প্যান বসলেও খুব শিগগিরই আরো কয়েকটি স্প্যান বসতে যাচ্ছে। পিলার ও স্প্যান প্রস্তুত রয়েছে। শুধু বসানো বাকি।
জানা যায়, পদ্মা সেতুতে বসবে ৪১টি স্প্যান। এরই মধ্যে ২৪টি স্প্যান দেশে এসেছে। এর মধ্যে বসানো হয়েছে ১৪টি স্প্যান। ৮টি স্প্যান রয়েছে মাওয়া কনস্ট্রকশন ইয়ার্ডে। নদী তীরে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে রাখা হয়েছে বাকি দুটি স্প্যান। এছাড়াও চীন থেকে আরো স্প্যান এখন মাওয়ার পথে রয়েছে।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৭০ শতাংশ। সেতু নিয়ে আর কোনো জটিলতা নেই।
তিনি আরো বলেন, সেতু নির্মাণকাজে বাধা নেই। সয়েল কন্ডিশন খারাপ থাকায় এক সময় অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। এখন সব বাধা কেটেছে। সেতুর সার্বিক অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে পদ্মা নদীর ওপর হচ্ছে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতু। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য (পানির অংশের) ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। এছাড়া ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটি প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে।
পদ্মা সেতু হলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে আমূল পরিবর্তন। এছাড়া এ অঞ্চলে বাড়বে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। এ সেতু চালু হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দেড় শতাংশ বেড়ে যাবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।