হজযাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করলে কঠোর ব্যবস্থা: রাষ্ট্রপতি
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:০৮ এএম, ৩ জুলাই ২০১৯ বুধবার
হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অবহেলা, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা দিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, কোনো ব্যক্তি, এজেন্সি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আশকোনা হাজি ক্যাম্পে হজ কার্যক্রম-২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, হজযাত্রীদের মাধ্যমে আপনারা ব্যবসা করেন। তাই ব্যবসার নামে প্রতারণা করবেন না। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে সরকার কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না।
হজ ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত সরকারি কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অবহেলা, অনিয়ম ও দুর্নীতি পরিলক্ষিত হলে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, হজযাত্রীদের ৯৫ শতাংশের বেশি হজ এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সৌদি আরব গমন করে থাকেন। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় অনেক এজেন্সি যেসব সুযোগ-সুবিধার কথা বলে হাজিদের মক্কা-মদিনায় নিয়ে যান, ওখানে যাওয়ার পর তা আর রক্ষা করেন না। ফলে হাজিদের অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়।
তিনি জানান, টাকা-পয়সা পরিশোধ করেও হজযাত্রীরা যখন তাদের যাত্রায় অনিশ্চয়তা দেখেন তখন বাধ্য হয়েই অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। এহেন কার্যক্রম দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে। হাজিদের সাথে এ ধরনের প্রতারণা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
মক্কা-মদিনায় অবস্থানকালে হাজিদের যাতে কোনো ধরনের বিড়ম্বনায় পরতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাবের প্রতি অনুরোধ জানান রাষ্ট্রপতি।
হজযাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, হজ উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভ্রাতৃপ্রতিম হাজিদের সাথে আপনাদের সাক্ষাৎ হবে। ভ্রাতৃত্বের এ মহামিলন পরস্পরের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে আপনারা বাংলাদেশকে তুলে ধরবেন। আপনাদের আচার-আচরণ, কথা-বার্তায় কেউ যাতে কষ্ট না পায়, আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি না হয় সে দিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন।
এ বছর ৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশ থেকে হজ করতে সৌদি যাচ্ছেন।
এখন থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীরা সৌদি আরবে অবতরণের আগেই ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। আগে এ কাজের জন্য হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পৌঁছে উড়োজাহাজে বসে থাকতে হতো। এতে অনেক সময় ছয় ঘণ্টাও সময় লাগত।