বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারী বর্ষণে মুম্বাইয়ে ২২ জনের প্রাণহানি

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:৪২ এএম, ৩ জুলাই ২০১৯ বুধবার

ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত বাণিজ্য নগরী মুম্বাই। যতদুর চোখ যায় কেবল পানি আর পানি। সোমবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টির ফলে মুম্বাই ও শহরতলিতে অন্তত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। 

জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা দলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে মঙ্গলবার ভোর রাতে মালাড এলাকায় একটি পাঁচিল ভেঙে ১৩ জনের নিহত হয়েছে। মালাড ইস্টের পিমপ্রিপদা এলাকায় ওই পাঁচিলের ধারেই বস্তিতেই বসবাস হতভাগ্যদের। সোমবার দিবাগত রাতে ওই ঝুপড়িতেই শুয়ে ছিলেন। হঠাৎ করেই ইটের তৈরি পাঁচিলটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ায় তারা সকলেই তার নিচে চাপা পড়ে। পরে স্নিফার ডগ দিয়ে তল্লাশি চালিয়ে তাদের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ। 

অন্যদিকে, মুম্বাইয়ের কল্যাণে একটি স্কুলের পাঁচিল ভেঙে তিন জনের মৃত্যু হয়, আহত হয় আরও একজন। পুনেতে পাঁচিল ধসে ছয় জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার রাতের দিকে এই শহরের আম্বেগাঁও এলাকায় সিংহাদ কলেজ ক্যাম্পাস লাগোয়া একটি অস্থায়ী আবাসনের ওপর পাঁচিল ধসে পড়লে ওই ছয় জন নিহত হয়, তারা প্রত্যেকেই শ্রমিক, আহত আরও দুই শ্রমিক।

 

এদিকে মুম্বাই ও শহরতলির একাধিক জায়গায় কয়েকদিনের একটানা বর্ষণের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে ২০০৫ সালের পর গত ২৪ ঘন্টায় এই শহরে সবচেয়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মঙ্গলবার সরকারি ছুটির (পাবলিক হলিডে) দিন ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। এদিন গোটা শহরেই সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অফিস। সেই সাথে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্রকে দফায় দফায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করতে দেখা গেছে। 

এর আগে, সোমবার গভীর রাতে মুম্বাই শহরের সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। জলাবদ্ধতা ও বন্যার মতো পরিস্থিতি থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার ও সহায়তা করতে দেশটির নৌ-বাহিনীর একাধিক প্রতিনিধি দল কাজ করছে। অতিরিক্ত বর্ষণের ফলে সড়ক যোগাযোগ, ট্রেন ও বিমান যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। রেল লাইনে পানি জমার কারণে শহরতলি ও দূরপাল্লার একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। খারাপ আবহাওয়া ও সোমবার রাতে স্পাইস জেটের একটি বিমান রানওয়েতে পিছলে যাওয়ার কারণে ৫২ টি বিমান বাতিল করা হয়েছে এবং ৫৪ টি বিমানের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।