বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে নয় চুক্তি স্বাক্ষর

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৭:৫৪ এএম, ৫ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার

বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ, সংস্কৃতি ও পর্যটন খাতে সহযোগিতা জোরদারের পাশাপাশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের চাল সরবরাহের লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে নয়টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের উপস্থিতিতে দুটি ঋণ চুক্তিসহ এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

 

এর আগে দুদেশের নেতারা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

 

পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

 

এগুলো হচ্ছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ কাঠামো চুক্তি; পিজিসিবি প্রকল্পের অধীনে বিদ্যুৎ গ্রিড নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের কাঠামো চুক্তি, দুদেশের সরকারের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা চুক্তি; এবং বিনিয়োগ সহযোগিতা ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা স্মারক।

এছাড়া চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের সঙ্গে দুটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।

এছাড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থী চাল সহায়তার জন্য বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং চীনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দুই হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করবে চীন।

 

 

বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ বেশিরভাগ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এছাড়া পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল একটি করে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

স্বাক্ষরগুলো হল-

১.রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য সংক্রান্ত এলওসি। এর আওতায় মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য চীন ২ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করবে বলে পররাষ্ট্র সচিব জানান।

স্বাক্ষরিত অপর চুক্তিগুলো হচ্ছে-

২.সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পর্যটন কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা স্মারক।
৩.ইয়ালু ঝাংবো ও ব্রহ্মপুত্র নদীর তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক ও তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা।
৪.ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট।
৫. বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে অর্থনীতি ও কারিগরি সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি।
৬. ইনভেস্টমেন্ট কোঅপারেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা নিয়ে সমঝোতা স্মারক।
৭.পিজিসিবি প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ গ্রিড নেটওয়ার্ক জোরদার প্রকল্পের জন্য ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট।
৮. ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে গভর্নমেন্ট কনসেশনাল লোন এগ্রিমেন্ট।
৯. ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে প্রিফারেনশিয়াল বায়ার্স ক্রেডিট লোন এগ্রিমেন্ট।