ধর্মের বিভিন্নতা ঐক্যের বাধা নয়: শিক্ষামন্ত্রী
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:৩১ এএম, ৫ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার
হাজার বছরের প্রবহমান বাঙালি সংস্কৃতির এক অনন্য শক্তি হল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এ ভূমিতে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রীস্টান সবাই নিজেদের সৌভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে গেছে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি পদক্ষেপে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বীর বিক্রমে লড়াই করে গেছে তারা। ধর্মের বিভিন্নতা এখানে তাই ঐক্যের বাধা নয় বরং একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনের অনিবার্য উপাদান হয়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার শ্রী শী যশোমাদবের রথযাত্রার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার মাত্র এক বছরের মাথায় জনগণকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান উপহার দেন। ধর্মনিরপেক্ষতা এ সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি। তিনি সব ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্মের কারণে কোনো নাগরিক যাতে বৈষম্যের শিকার না হয় তা নিশ্চিত করেন। এছাড়া সবাই যেন নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে পারে এ জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। জাতির পিতা ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নামে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করেছিলেন।
তিনি বলেন, রথযাত্রা হিন্দুদের অন্যতম পবিত্র একটি ধর্মোৎসব। এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয় চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে। ধামরাইয়ের রথ অত্যন্ত প্রাচীন এবং উপমহাদেশে এ রথের খ্যাতি রয়েছে।
ডা.দীপু মনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী বড় রথটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা পুড়িয়ে দেয়। পুড়িয়ে দেয়া হলেও এর উৎসব-আয়োজন থেকে মানুষকে বিরত রাখা যায়নি।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা-বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির এখনো নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। এ অপশক্তির মূলোৎপাটনে গোটা বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠিানে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জীবন কানাই দাসের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- এরোমা দত্ত এমপি, স্থানীয় এমপি বেনজির আহমেদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) ড. অরুনা বিশ্বাস প্রমুখ।