মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌনতাই আমিরাতি প্রিন্সের মৃত্যুর কারণ!
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:২৭ এএম, ৫ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ সুলতান বিন মুহাম্মদ আল-কাশিমির ছেলে প্রিন্স শেখ খালিদ বিন সুলতান আল-কাশিমির মৃত্যু অতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌনতার কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি লন্ডনের নিজ বাড়িতে আকস্মিক মৃত্যু হয় তার।
ব্রিটিশ ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আমিরাতি প্রিন্স খালিদ আল-কাশিমি তার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে অ্যাপার্টমেন্টে একটি সেক্স অ্যান্ড ড্রাগ পার্টির আয়োজন করেছিলেন। সেখানে অতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার পর বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সেখানেই মারা যান তিনি।
প্রিন্স খালিদ আল-কাশিমি পেশায় একজন ফ্যাশন ডিজাইনার ছিলেন। কাশিমি হোম্ম ব্র্যান্ড নামে নিজস্ব ফ্যাশন ডিজাইন প্রতিষ্ঠান ছিল তার।
তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানায়, পশ্চিম লন্ডনে ৮ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের নিজ বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট প্রায়ই কয়েক দিনব্যাপি সেক্স পার্টির আয়োজন করতেন এই আমিরাতি যুবরাজ। সেখানে উপস্থিত থাকতো লন্ডনের উঁচু শ্রেণির সব পতিতারা। এছাড়া পার্টিতে শক্তিশালী মাদক ‘মেথামফেটামাইন’ নিয়মিত সেবন করতেন তিনি। কারণ এটা নেয়ার পর দীর্ঘ সময় ধরে যৌন কর্ম করা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মচারী ডেইলি মেইলকে বলেন, `আমরা সব সময় জানতাম যে, তিনি এটা নিচ্ছেন। কারণ তিনি প্রত্যেক দিন অফিসে আসতেন খারাপ মেজাজে। তিনি খুবই খারাপ আচরণ করতেন। অন্য সময় তিনি খুবই ভালো। কঠিন প্রকৃতির হলেও সৎ ছিলেন। কিন্তু তিনি যখন বেশ কয়েকদিন ধরে ওই পার্টি করতেন, তখন পুরো দানবের মতো হয়ে যেতেন।'
কাশিমি হোম্ম ব্র্যান্ডের আরেকজন কর্মচারী জানান, সাপ্তাহিক পার্টি শেষে অফিসে এসে প্রিন্স খালিদ চেয়ার এবং অন্যান্য আসবাবপত্র ছুড়ে মারতেন। কিন্তু চাকরি হারানোর ভয়ে তারা সব সময় মুখ বন্ধ করেছিলেন।
তিনি বলেন, যুবরাজের সেক্স অ্যান্ড ড্রাগ পার্টিতে আসতেন মূলত তার বন্ধু-বান্ধব ও ব্যবসায়িক সহযোগীরা। আমরা কখনই আমন্ত্রণ পেতাম না। সেখানে কী ঘটে আমরা শুধু সেটাই শুনতাম।
সোমবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজ অ্যাপার্টমেন্টে তাকে অবচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার করোনার অফিস বলছে, আমিরাতি এই প্রিন্সের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে তার শরীরে মাদক কিংবা অন্য কিছুর উপস্থিতি আছে কি-না তা প্রতিবেদনে জানা যাবে। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ হতে আরো কমপক্ষে দুই মাস সময় লাগতে পারে।
এদিকে প্রিন্স খালিদ আল কাশিমির মরদেহ দেশে আনার পর বুধবার দাফন করা হয়েছে। আমিরাতি এই প্রিন্সের মৃত্যুতে দেশটিতে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও পতাকা অর্ধনমিত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।