লেবুর অসাধারণ যত গুণ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:০১ পিএম, ৬ জুলাই ২০১৯ শনিবার
উৎসবে বিভিন্ন মুখরোচক খাবারে কিংবা সাদা ভাতে এক টুকরো লেবু। আহা! খাবারের স্বাদ সত্যিই বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আবার মুখের রুচি বাড়াতেও লেবুর জুড়ি নেই। বাড়ির আনাচে-কানাচে যেখানে-সেখানে লেবু গাছ জন্মায়। বাজারেও সারা বছর পাওয়া যায় বিভিন্ন জাতের লেবু।
আমাদের কাছে কাগজি লেবু, পাতি লেবু, কমলা লেবু, মোসাম্বি লেবু, গন্ধরাজ ও বাতাবি লেবু খুব পরিচিত নাম। ১০০ গ্রাম কাগজি বা পাতিলেবু থেকে যে সব পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় ভিটামিন সি ৬৩ মিলি গ্রাম যা আপেলের ৩২ গুণ ও আঙ্গুরের দ্বিগুণ, ক্যালসিয়াম ৯০ মিলি গ্রাম, ভিটামিন এ ১৫ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি ১৫ মিলি গ্রাম, ফসফরাস ২০ মিলি গ্রাম, লৌহ ৩ মিলি গ্রাম।
টাটকা লেবুর খোসাতেও থাকে পুষ্টি। প্রচণ্ড গরমে ১ গ্লাস ঠাণ্ডা লেবুর শরবত দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া নিমিষেই তা স্বস্তি এনে দেয়। লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। এই ভিটামিন দেহে সঞ্চিত অবস্থায় থাকে না, সেজন্য শিশু-বৃদ্ধ সবাইকে প্রতিদিনই ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। জ্বর, সর্দি, কাশি ও ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় লেবু অত্যন্ত কার্যকর।
রোগ প্রতিরোধে লেবুর ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকর। স্কার্ভি রোগ থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন সি দেহের ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে এবং রক্তের জমাট বাঁধায়। লেবুতে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি অ্যান্টি অক্সিডেন্টস হিসেবে কাজ করে দেহে ক্যান্সারসহ নানা ঘাত প্রতিঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে।
প্রতিদিনি শিশুদের ২০ মিলি গ্রাম ভিটামিন প্রয়োজন। এ সময় ভিটামিন সির অভাব হলে শিশুর দাঁত, মাঁড়ি ও পেশি মজবুত হয় না। মাথায় খুশকি নিবারণে লেবুর রয়েছে অসাধারণ গুণ। লেবুর রস চুলের গোড়ায় ঘসে ঘসে লাগায়ে ১৫-২০ মিনিট পর পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দু`দিন করে লাগালে মাথায় খুশিকি থাকবে না এবং চুলের আঠালো আঠালো ভাব দূর হবে। চুল হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।
যাদের অরুচি ভাব আছে তারা খাবারে লেবু খেলে খুব দ্রুত রুচি ফিরে পাবে। সুতরাং আমাদের নিত্যদিনই লেবুর পাশাপাশি অন্যান্য ভিটামিন সি জাতীয় ফল প্রয়োজন অনুযায়ী খেতে হবে।