1. প্রচ্ছদ
2. স্বাস্থ্য

মানুষের সৌন্দর্যের অন্যতম এক অনুষঙ্গ চুল। তবে কখনো কখনো চুল পড়া উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এই সমস্যায় অনেকেই ভুগেছেন।

অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণে মাথার চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে। এতে সৌন্দর্যের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও আপনি হারাচ্ছেন। নানা রকম শ্যাম্পু ও তেল ব্যবহার করেছেন। আর শেষমেশ ডাক্তারের কাছে গিয়েও মিলছে না সমাধান।

যারা এই সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাদের জন্য রয়েছে ঘরোয়া সমাধান। কিছু নিয়ম মানলেই ৭ দিনেই আপনার চুল পড়া অনেক কমে যাবে। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত এই নিয়ম মেনে চললে চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই।

চলুন চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায় জেনে নেয়া যাক-

১. চুলের গোড়ায় গরম তেল ম্যাসেজ:

চুলের জন্য গরম তেল খুবই উপকারী। এ ক্ষেত্রে নারকেল ও বাদামের তেলের জুড়ি নেই। তেল গরম করার পর আস্তে আস্তে আপনার আঙ্গুলের দ্বারা মাথার খুলিতে ম্যাসেজ করুন। এই ম্যাসেজ চুলের গোড়ায় রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে, শিকড়ে শক্তি বাড়ায় ও চুল পড়া রোধ করে।

২.পেঁয়াজ রস:

পেঁয়াজে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় সালফার। এর রস মাথায় নতুন চুল গজাতেও চুল পড়া বন্ধে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান জীবাণুমুক্ত রাখে।

পেঁয়াজের রস বের করে বাটিতে নিন। রসে তুলার ভিজিয়ে হাতের সাহায্যে মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। পেঁয়াজের রস একটানা সাতদিন ব্যবহারের পড়েই আপনি এর কার্যকারিতা দেখতে পাবেন।

৩. বিটরুট রস:

বীটরুটে পটাসিয়াম, ভিটামিন ‘বি’, ভিটামিন ‘সি’ ফসফরাস এবং প্রোটিন থাকে। এটি চুল পড়া বন্ধ, নতুন চুল গজানো ও চুল বৃদ্ধি করে। এছাড়া মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। বীটরুটের রস করুন ও পাতা পানিতে সিদ্ধ করে ঘন করে নিন। এই উপাদান দুটির সঙ্গে সামান্য মেহেদি মিশিয়ে ঘন পেস্ট করে নেবেন। মাথার তালুতে লাগানোর ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪. সবুজ চা:

সবুজ চা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা চুল পড়া রোধ ও বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকরী। এক কাপ গরম পানিতে দুই ব্যাগ চা মিশিয়ে নিন। হালকা গরম থাকা অবস্থায় মাথায় লাগান। এক ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন।

৫. আমলকি: 

ভিটামিন সি’র অভাবে অনেক সময় চুল পড়তে থাকে। আমলকিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকি চুলপড়া বন্ধ, চুলের খুশকি দূর করে। আমলকির রস নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ার লাগালে উপকার পাবেন।  

৬. নিমপাতা:

নিমপাতাকে বলা হয় সব রোগের মহৌষধ। চুলপড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজাতেও নিমপাতার জুড়ি নেই। নিম পাতা গরম পানিতে দিয়ে পেস্ট করে চুলে লাগানোর ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। দুই সপ্তাহের মধ্যেই দেখবেন আপনার চুল পড়া কমে গেছে।    

৭. ডিমের সাদা অংশ পেস্ট করে লাগান:

ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন এবং ভিটামিন চুলের পুষ্টি জোগাতে সক্ষম। পাতলা চুলের সমস্যা দূর করে চুল ঘন ও মসৃণ করে। দুটি ডিমের সাদা অংশ দিয়ে মাস্ক তৈরি করে মাথার ত্বকে ও চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

৮. ধ্যান করুন:

অনেকের কাছে বিষয়টি হাস্যকর মনে হতে পারে। কিস্তু এটি সত্যি। অতিরিক্ত চাপ ও দুশ্চিন্তা চুল পড়ার মূল কারণ হয়ে উঠতে পারে। নিয়মিত ধ্যান আপনাকে চাপমুক্ত রাখে ও  হরমোনের ভারসাম্য তৈরি করে। এতে চুল পড়া রোধ হয়।