যে কারণে চাঁদের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:৩৪ পিএম, ৭ জুলাই ২০১৯ রোববার

গত শতাব্দীতে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পর পৃথিবীর উপগ্রহ সম্পর্কে আগ্রহ আরো বেড়ে চলেছে৷ এর মূল কারণ চাঁদের বুকে পানির সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া চাঁদের বুকে স্থায়ী বসতির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল রয়েছে।
অনেক দশক ধরেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করছিলেন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে জমাট পানি থাকতে পারে। কোটি কোটি বছর ধরে ছায়ার আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে অসংখ্য খাদ। এগুলোর নামকরণ করা হয় ‘কোল্ড ট্র্যাপ’ হিসেবে। কারণ খাদের জমির তাপমাত্রা চাঁদের বাকি অংশের তুলনায় অনেক বেশি শীতল – প্রায় মাইনাস ২৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস!
ভারত প্রথম চন্দ্রযান চাঁদে অনুসন্ধান চালায় ২০০৮ সালে। সেই যানের রাডার চাঁদের উত্তর মেরুর ৪০টিরও বেশি গহ্বরে পানির বরফ আবিষ্কার করে। গবেষকদের ধারণা, শুধু সেই সব জায়গায়ই ৬০ কোটি টন বরফ থাকতে পারে। জানা যায় ধুমকেতু ও গ্রহাণুর মাধ্যমে সেই পানি সম্ভবত চাঁদে এসেছিল। সূর্য প্রতিনিয়ত চাঁদের বুকে হাইড্রোজেন কণা আছড়ে ফেলেও এ ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে। সেগুলো পাথুরে জমির মধ্যে প্রবেশ করে অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং পানি সৃষ্টি করে৷ তারই কিছু অংশ দুই মেরু অঞ্চলের শীতল গহ্বরে জমা হয়।
নাসার লাডে নামের স্যাটেলাইট অসাধারণ এক আবিষ্কার করেছে। চাঁদের জমি থেকে প্রতিনিয়ত পানি বেরিয়ে আসছে। বিশেষ করে উল্কাবৃষ্টির সময় এমনটা বেশি দেখা যায়। পানিসমৃদ্ধ পাথুরে জমির উপর কয়েক সেন্টিমিটার পুরু ধুলার স্তর রয়েছে। আগামী কয়েক বছরে রোবটের মাধ্যমে চাঁদের বুকে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ নির্ণয় করার চেষ্টা চালানো হবে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীন প্রথমবার চাঁদের দক্ষিণ মেরু এলাকায় একটি মহাকাশযান অবতরণে সক্ষম হয়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সূর্যের হাইড্রোজেন কণা চাঁদের বুকে ঠিক কী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, সেই যানের মধ্য থেকে এক রোভার চাঁদের বুকে নেমে পরীক্ষা চালাচ্ছে।
তবে ২০৩০ সালের আগে চাঁদে আবার মানুষ পাঠানো কোনো পরিকল্পনা নেই।