ভারতে বন্ধ হচ্ছে প্রকাশ্যে মলত্যাগ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:৫৫ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৯ সোমবার
ভারতে খোলা স্থানে মলত্যাগের বিষয়টি একটি বড় ধরনের সামাজিক সমস্যা। এ সমস্যা নিরসনে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্ম করে যাচ্ছে দেশটির সরকার।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানালেন, চলতি বছরের ২ অক্টোবরের মধ্যেই ভারতে খোলা স্থানে মলত্যাগ বন্ধ হবে। খবর এনডিটিভির
গত শুক্রবার লোকসভায় নিজের বাজেট বক্তৃতায় ভারতের অর্থমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
এসময় ভারতীয় অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, ৫ লাখ ৬০ হাজারের বেশি গ্রামের অধিবাসীরা এখন আর উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ করে না।
বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা সীতারমণ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন সত্যতে রূপ নিতে যাচ্ছে। আমি এটা বলে খুবই আনন্দ ও তৃপ্ত বোধ করছি যে, ২ অক্টোবর ২০১৯ সালের মধ্যেই ভারতে খোলা স্থানে মলত্যাগ বন্ধ হবে।
৫ বছর মেয়াদী ‘ক্লিন ইন্ডিয়া মিশন’পরিকল্পনার দায়িত্বশীল পদক্ষেপের কারণেই এটি সম্ভব হচ্ছে বলে জানান নির্মলা।
লোকসভায় নির্মলা তথ্য দেন, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর থেকে ‘ক্লিন ইন্ডিয়া মিশন’পরিকল্পনার আওতায় ভারতে ৯ কোটি ৬০ লাখ শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ, ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৯৬ মিলিয়ন শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে ভারত। তবুও দেশটির বেশিরভাগে রাজ্যের বেশ কিছু মানুষ এখনো উন্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগ করছে।
সম্প্রতি দেশটির এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, ভারতে ৫০ কোটিরও বেশী মানুষ খোলা স্থানে মলত্যাগ করে। অথচ তাদের অনেকের বাড়িতে শৌচাগার স্থাপ করা হয়েছে। তারা সেটি ব্যবহার করছেন না।
এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি দেশটির নদীয়া জেলার কর্তৃপক্ষ এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। তারা জেলার বিভিন্ন স্থানের দেয়ালে ‘লজ্জা দেয়াল’ স্থাপন করেছে। আর সেই দেয়ালে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ করা নারী-পুরুষদের ছবি টানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এমন উদ্যোগের ফলে নদীয়ায় প্রকাশ্যে খোলা জায়গায় মলত্যাগ অনেকটাই কমে এসেছে বলে দাবি ওই জেলের কর্তৃপক্ষের।