বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বৈরী আবহাওয়ায় বন্ধ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস

নিউজ ডেস্ক:

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:৫৫ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৯ সোমবার

বৈরী আবহাওয়া ও টানা বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। ফলে পণ্য খালাস নিতে এসে বুকিং দিয়ে পেয়েও অলস বসে আছে চার শতাধিক লাইটার জাহাজ। তবে জেটিতে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা স্বাভাবিক রয়েছে।

সাগর শান্ত না হওয়া পর্যন্ত বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ থাকবে। বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় গত শনিবার থেকে চট্টগ্রাম, মোংলা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল রবিবারও তা বহাল ছিল। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগে দিনভর ভারী বর্ষণও হতে পারে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফট ও ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যরে জাহাজ ভিড়তে পারে, যা মাঝারি আকারের। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য নিয়ে আসা বড় জাহাজগুলো (মাদার ভেসেল) চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করে। সেখান থেকে ছোট জাহাজে (লাইটার) পণ্য বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস নিতে লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি) সিরিয়াল অনুযায়ী বুকিং দিয়ে থাকে। সে অনুযায়ী ছোট জাহাজ আউটারে গিয়ে সংশ্লিষ্ট জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করে।

বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশিদ বলেন, সাগর খুবই উত্তাল। লাইটার জাহাজ যেতে পারছে না। তাই গত শনিবার থেকে ৪০০ লাইটার অলস বসে আছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সিরিয়াল তৈরি হয়ে জটিল আকার ধারণ করতে পারে। বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. রাসেল বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় বহির্নোঙরে লাইটার যেতে পারছে না। তাই জাহাজ থেকে পণ্য খালাস হচ্ছে না। তবে আমাদের শ্রমিকরা প্রস্তুত আছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের চিফ পারসোনাল অফিসার মো. নাছির উদ্দিন বলেন, কিছুটা বিঘœ ঘটলেও জেটিতে পুরোদমে কাজ চলছে। তবে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় বহির্নোঙরে কাজ বন্ধ রয়েছে। আশা করি আজ সোমবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। বন্দরসূত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার পর্যন্ত বহির্নোঙরে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসা ৬৮টি জাহাজ অবস্থান করছিল।

এর মধ্যে ১৪টি কনটেইনার পণ্যবাহী। বাকি ৫৪টিতে রয়েছে সিমেন্ট ক্লিংকার, চিনি, লবণ, সারসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য। জেটিতে অবস্থান করা ১৬ জাহাজের মধ্যে সবগুলোতে কাজ হয়েছে। বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জেটিতে অধিকাংশ জাহাজই কনটেইনার পণ্যবাহী। তাই বৃষ্টি হলেও পণ্য খালাসে কোনো সমস্যা হয় না।