বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিজেপিতে কি যোগ দিচ্ছেন নুসরাত?

নিউজ ডেস্ক:

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:১৭ পিএম, ৯ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

সদ্য অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে জিতে সাংসদ সদস্য নুসরাত জাহান। এর কিছু দিন পার হতেই- এবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন নুসরাত, এমন অভিযোগ তুলেছেন বসিরহাটের সাবেক এমপি তৃণমূল নেতা ইদ্রিস আলী। একই সঙ্গে লোকসভায় শপথ গ্রহণের দিন নুসরাতের বেশভুষা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই তার রাজনৈতিক ডিগবাজির সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। যার পরিপেক্ষিতে সরগরম হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। 

ভারতের একটি গণমাধ্যমে ইদ্রিস আলী বলেছেন, নুসরাত যেভাবে তার সাজ পরিবর্তন করেছেন তাতে আমার মতো অনেকের সন্দেহ হচ্ছে তিনি নরেন্দ্র মোদির দলে ভিড়তে যাচ্ছেন কি না। 

ইদ্রিস ওই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নুসরাতের ‘আচরণ’ নিয়ে দলের অন্দরে ‘বিভ্রান্তি’ তৈরি হয়েছে। সিঁদুর-মঙ্গলসূত্র পরে সংসদে গিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন তিনি। পাশাপাশি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে প্রণাম করা নিয়েও জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ কারণে তার বিজেপিতে যোগদান নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে তৃণমূলে।

বসিরহাটের সাবেক এই সাংসদ বলেন, আমাদের মূল শত্রু বিজেপি। আমাদের দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সেখানে নুসরাত প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষণের ভূয়সী প্রশংসা করছেন। আমাদের কোনো সাংসদ কিংবা নেতা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে সমর্থন করছেন না, সেখানে এই তারকা অভিনেত্রী মোদির ভাষণকে বাহবা দিচ্ছেন। এটা তো এক প্রকার দলের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ। তাই তার দলত্যাগের বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে।

ইদ্রিস আরো বলেছেন, তিন তালাক নিয়েও দলের অবস্থানের বাইরে গিয়ে মন্তব্য করেছিলেন নুসরাত। বিষয়টি নিয়েও বেশ সমালোচনা হয়েছিল। অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের এভাবে হঠাৎ সুযোগ দিলে এমনই হয়। 

এই সমালোচনা নিয়ে নুসরাতের অবস্থান পরিষ্কার করতে অনুরোধ করেছেন এই তৃণমূল নেতা। তার দাবি- বিয়ের পর স্বামীর অনুরোধেই ভোল পাল্টাচ্ছেন তিনি।

গেল লোকসভা নির্বাচনে অন্য দলগুলোকে হতাশায় ডুবিয়ে বিজেপি যে বিশাল জয় পেয়েছে তাতে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানোর হিড়িক পড়েছে। একই পরিস্থিতি কংগ্রেসসহ অন্যান্য দলেও। এ কারণে টলিউডের এই তারকা সম্পর্কে ইদ্রিসের এমন মন্তব্যে রাজনীতিতে গরম হাওয়া বইছে। আবার অনেকে বলেছেন, বসিরহাট আসনে এর আগে সাংসদ নির্বাচিত হলেও এবার নুসরাতের কারনে নির্বাচনের টিকেট পাননি ইদ্রিস। তাই নুসরাতের সম্পর্কে উল্টাপাল্টা বলে দলের মধ্যে কোন্দল তৈরি করার চেষ্টা করছেন তিনি। 

এদিকে তৃণমূল থেকে কড়া সমালোচনার শিকার হলেও এসব বিতর্কে নুসরাতের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং শাহানওয়াজ হুসেন। রাজ্য ও জাতীয় স্তরের এই দুই বিজেপি নেতা-নেত্রীর এমন ‘সমর্থন’ তৃণমূলের সন্দেহবাদিদের মনে আরো সন্দেহ দানা বেঁধেছে। যদিও নুসরাত এ বিরুদ্ধে এখনো নিরব ভূমিকা পালন করছেন।