বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৭০০ কন্টেইনার নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

নিউজ ডেস্ক:

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:১৭ পিএম, ৯ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার জট কমানোর পাশাপাশি কন্টেইনার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে অবশেষে পণ্য ভর্তি সাতশ’র বেশি কন্টেইনার নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর দ্রুত ইনভেন্ট্রি শেষ করতে গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম। নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হলে হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয়ের আশা করছে কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।

নানামুখী জটিলতার কারণে কন্টেইনার জট সৃষ্টির শঙ্কায় সব সময় শঙ্কিত থাকতে হয় বন্দর ব্যবহারকারীসহ কর্তৃপক্ষকে। সবশেষ ঘূর্ণিঝড় ফনি এবং ঈদের টানা বন্ধের কবলে পড়ে কন্টেইনারের স্তূপ জমায় জাহাজের অবস্থানকালীন সময় বেড়ে গেছে। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সার্ভার বিকল থাকায় শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। এর মাঝে চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে রয়েছে ৫ হাজার ৮৫৫ টি নিলামযোগ্য কন্টেইনার।

চট্টগ্রাম বন্দর বার্থ অপারেটর এসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে একরাম চৌধুরী বলেন, কন্টেইনার পড়ে থাকলে চলাচলে অসুবিধা হয়। তাই কন্টেইনার কমলে তা বন্দরের জন্যই ভালো।

মূলত চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা এসব কন্টেইনার সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে বন্দর। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর কন্টেইনার ডেলিভারি নেয়া না হলে সেগুলো নিলামের তালিকাভূক্ত করে কাস্টমস। এ ধরণের তালিকাভূক্ত থেকে পণ্য ভর্তি ৭শ’র বেশি কন্টেইনার নিলামে তোলার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন কাস্টমস কমিশনার।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, যেহেতু নিলাম শাখায় পর্যাপ্ত লোকবল নেই তাই অন্যান্য শাখার লোকদের সমন্বয়ে একটা স্পেশাল টিম গড়া হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, ইয়ার্ডে রাখার বিনিময়ে আমদানিকারকদের কাছ থেকে কন্টেইনার প্রতি ৬ থেকে ১২ ডলার হারে রাজস্ব পেয়ে থাকে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু যেসব কন্টেইনার ডেলিভারি নেয়া হয় না সেগুলোর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে দু’ধরণের সংকটে পড়তে হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, নিলাম যত দ্রুত হবে বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য তত বেশি কল্যাণকর।

প্রথম পর্যায়ে ৭শ' কন্টেইনার বিক্রির পর বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে নিলামে তোলা হবে।

বন্দরের ইয়ার্ডে বর্তমানে নয় ক্যাটাগরির ৪১ হাজারের বেশি কন্টেইনার রয়েছে। এ কন্টেইনার নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কন্টেইনার জট নিরসনের পাশাপাশি কাস্টমস কর্মকর্তারা আমদানিকারকদের একটি বার্তা দিতে চান। তা হলো, নিয়মানুযায়ী দুটো কন্টেইনার খালাস না হলে তাদের সবাইকে এ কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে।