বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় ‘সেরা শিক্ষক’ বাংলাদেশ: বান কি-মুন

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:২৩ এএম, ১১ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশকে ‘অলৌকিক’ হিসেবে বর্ণনা করে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেরা শিক্ষক।

জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় করণীয় বিষয় নিয়ে ঢাকায় আয়োজিত দুই দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’ বিষয়ে ঢাকা সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বান কি-মুন বলেন, আমরা এখানে এসেছি জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শুনতে ও জানতে। এ ক্ষেত্রে যারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রাথমিক শিকার তারা আমাদের সেরা শিক্ষক এবং তারা খোলা মনে আমাদের শেখাবেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও আরো কয়েকটি দেশ রয়েছে যারা সারা পৃথিবীকে এ বিষয়ে শেখাতে পারে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ সেরা শিক্ষক। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে সাগরের উচ্চতা মাত্র ১ মিটার বৃদ্ধি পেলেই বাংলাদেশের ১৭ শতাংশ ভূমি তলিয়ে যাবে। আইপিসিসির বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, যে সাগরের উচ্চতা সামান্য বৃদ্ধি পেলেই রাজধানী শহর ঢাকাও জলমগ্ন হয়ে পড়বে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে বান কি মুন বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) বিশ্বনেতাদের মধ্যে অন্যতম, যিনি জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাটি নিয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমি আপনার অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থাবান।

বান কি মুন এবং ড. হিলদা উভয়ে অভিযোজনের প্রতিকূল প্রভাবকে মানিয়ে নেয়ার উদ্যোগ ও দুর্যোগ মোকাবিলায় গৃহীত কৌশলের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হবে বাংলাদেশ।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণের জন্য দায়ী ‘কার্বন’ বাংলাদেশ খুব সামান্যই নিঃসরণ করে থাকে। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে স্বাধীনতার পর বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর পথ দেখিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে বঙ্গবন্ধু কক্সবাজারে সবুজবেষ্টনী গড়ে তুলেছিলেন এবং যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় তখন ৪৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত করেছিলেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে তার সরকারের উদ্যোগের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং জনগণের জন্য অভিযোজন কার্যক্রম গ্রহণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মার্শাল আইল্যান্ডসের রাষ্ট্রপতি হিলদা হিনে এবং বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।