মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নারী-পুরুষের আবেগ আলাদা হওয়ার কারণ জানেন কি?

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:১৭ এএম, ১৪ জুলাই ২০১৯ রোববার

কার আবেগ বেশি নারী না পুরুষের? এই আলোচনা অনেকেই করে থাকেন। তবে নারী মমতাময়ী তা সবারই জানা। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে এই একই কথায় আছে ভিন্নতা। নারীরা যতটা সহজে কান্না করতে পারে, পুরুষরা ঠিক তেমন ভাবে পারে না। কিন্তু কেন, তা জানা দরকার। চলুন আজ জেনে নেয়া যাক সেই প্রশ্নের উত্তরটি-  

সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ বেজেল- এর একটি গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরুষ ও নারীদের মস্তিষ্কে কিছু পার্থক্য থাকে। যার জন্য পুরুষরা নারীদের মতো অনুভূতিপূর্ণ ও আবেগপ্রবণ হন না। মূলত মস্তিষ্কের সংযোগকারী বিভিন্ন স্নায়ুর পার্থক্যের কারণেই মানুষের আবেগগত আচরণের পার্থক্য হয়। কিছু মানুষ বেশি আবেগী হয় এবং কিছু মানুষের ভেতর আবেগ কম দেখা যায়। যে কোনো নারীদের চাইতে পুরুষদের আবেগের ভিন্নতা অনেক। অনেক পুরুষের মধ্যে তো কোনো আবেগ বা অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাও থাকে না। ব্যস্ততা বা সংসারের চাপে নয়, মস্তিষ্কের গঠনের কারণেই পুরুষদের হৃদয়ে কম আবেগ থাকে।

গবেষণা করে আরো দেখা গেছে, শুধু আবেগ নয় মস্তিষ্কের গঠনের ভিন্নতার কারণে উদাসীন হওয়ার প্রবণতাও পুরুষদের বেশি। অপরের প্রতি সহানুভূতির অভাব ও অন্যের অনুভূতির গুরুত্ব না দেয়া আবেগহীন-উদাসীনতার উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়। এমনকি পুরুষের অপরাধ বোধও নারীর তুলনায় অনেক কম হয়। গবেষণা অনুযায়ী, মস্তিষ্কের যে অংশ অন্য ব্যক্তির আবেগ এবং অনুভূতি বোঝার সঙ্গে জড়িত পুরুষদের সেই অংশে অ্যান্টেরিয়র ইন্সুলা বা গ্রে ম্যাটারের ঘনত্ব বেশি থাকে।

 

তাই পুরুষরা আবেগ বর্জিত আচরণ বেশি করে। তবে নারীদের ক্ষেত্রে তা কিন্তু একেবারেই প্রযোজ্য নয়। অন্যদিকে বাড়ন্ত পুরুষদের মধ্যে তুলনামূলক ভাবে অ্যান্টেরিয়র ইনসুলা বা ধূষর কোষের সংখ্যা বেশি থাকে। মস্তিষ্কে এই ধূষর কোষের মাধ্যমেই অন্যের দুঃখে মানুষ সহানুভূতিশীল হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের মস্তিষ্কে এই ধূষর কোষের সংখ্যা কমতে থাকে। তবুও তা নারীদের তুলনায় অনেক কম হয়। মূলত মস্তিষ্কের গঠনই নির্ধারণ করে সেই মানুষটির আবেগ, অনুভূতি কেমন হবে।