রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৬ ১৪৩২   ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

১০০ বছর আগের ফুরফুরে বাতাস পেতে যা করতে হবে

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:৫০ এএম, ১৫ জুলাই ২০১৯ সোমবার

দুঃসহ গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বিশ্বব্যাপী। মাথার ওপরের নীল আকাশটা যেনো তাঁতালো কড়াইয়ের রূপ নিয়েছে। প্রকৃতি যেনো তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়ছে। অগ্নিক্ষরা দহনে নিসর্গ প্রকৃতিটা তামাটে বর্ণ ধারণ করছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের উপায় একটাই- গাছ লাগাতে হবে অন্তত এক লক্ষ কোটি! সুইজারল্যান্ডের সুইস ফেডারাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একটি গবেষণা এই তথ্য জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স’-এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, অন্তত এক লক্ষ কোটি গাছ লাগালেই বায়ুমণ্ডল হয়ে উঠবে ১০০ বছর আগের মতো। কমে যাবে বায়ুমণ্ডলের ২৫ শতাংশ কার্বন। এই গাছগুলো লাগানোর জমির অভাব হবে না। গাছ বসানোর জন্য ৩৫ লক্ষ বর্গ মাইল বা ৯০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পড়ে রয়েছে পৃথিবীতে। জায়গাটা মোটেও কম নয়!

 

পৃথিবীতে গাছ লাগানোর মতো জায়গা মোটেও কম নয়

পৃথিবীতে গাছ লাগানোর মতো জায়গা মোটেও কম নয়

গবেষণা পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, বাতাসে কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইডসহ নানা ধরনের গ্রিন হাউস গ্যাস বাড়ছেই। মূলত শিল্পবিপ্লবের পর থেকেই হু-হু করে ভারি হচ্ছে বাতাস। এ পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলে জমা হয়েছে ৩০ হাজার কোটি মেট্রিক টন কার্বন। আর এক লক্ষ কোটি গাছ প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠলে, তা বায়ুমণ্ডল থেকে টেনে নেবে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টন কার্বন।

গাছ লাগানোর জন্য পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি জায়গা পড়ে রয়েছে রাশিয়ায়। প্রায় ১৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। গাছ বসানোর জমির নিরিখে তার পরেই রয়েছে আমেরিকা। এরপরই সবচেয়ে বেশি জায়গা খালি পড়ে আছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল ও চীনে।