মহাকাশ কেন্দ্রে ঘুরতে যেতে কত খরচ হবে?
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:৫৪ এএম, ১৫ জুলাই ২০১৯ সোমবার

মহাকাশ পর্যটনসহ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুরু করতে গত মাস থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে নাসা। মহাকাশে থাকা এই গবেষণাগার থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যেই এই পরিষেবা শুরু হচ্ছে।
মহাকাশ কেন্দ্রে ঘুরতে যেতে কত খরচ হবে? রিটার্ন টিকিট কাটতে খরচ হবে ১০ মিলিয়ান মার্কিন ডলার। সাথে প্রতি রাত থাকার খরচ ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার। এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রকে খুলে দিচ্ছে নাসা। এর আগে কখনো এই কাজ করেনি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা।
বছরে দু’বার আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পর্যটক পাঠাবে নাসা। মহাকাশ যাত্রা করতে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা বাধ্যতামূলক নয়। এই যাত্রায় পর্যটকের প্রায় ৫৮ মিলিয়ান মার্কিন ডলার খরচ হবে। ইতিমধ্যেই স্পেসএক্স আর বোয়িং এর সাথে হাত মিলিয়ে এই প্রোজেক্টে কাজ শুরু করেছে নাসা।
২০১৯ সালের শেষের দিকে স্পেসএক্স আর বোয়িং এর ট্রান্সপোর্ট ক্যাপসুল তৈরি শেষ হবে। এরপর পরীক্ষামূলকভাবে এই ক্যাপসুলগুলো মহাকাশে পাঠানো হবে। ২০২০ সালে বাণিজ্যিকভাবে পর্যটকদের মহাকাশে পাঠানো যাবে। এক ব্যাক্তির আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে এক রাত থাকার খরচ পড়বে ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত খরচ করতে হবে পর্যটককে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে এক গিগাবাইট ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ ৫০ মার্কিন ডলার।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র তৈরি করেছিল রাশিয়া। তবে অন্যান্য দেশের মহাকাশ গবেষকরাও এই গবেষণা কেন্দ্র ব্যবহার করেন। তবে ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশ কেন্দ্র বেশিরভাগ মডিউল নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এর আগেও আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পর্যটক গিয়েছিলেন। ২০০১ সালে প্রথম পর্যটক হিসাবে মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছান মার্কিন ধনকুবের ডেনিস টটো। মহাকাশে যেতে মার্কিন শিল্পপতির খরচ হয়েছিল ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেকোনো সময় আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে তিন থেকে ছয় জন গবেষক থাকেন। এই মুহুর্তে সেখানে রয়েছেন তিন মার্কিন, দুই রাশিয়ান ও এক কানাডার বিজ্ঞানী।