যুবকের শুক্রথলি খালি, রয়েছে একাধিক নারী জননাঙ্গ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৯ সোমবার
ভারতের একটি সরকারি হাসপাতালে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা করতে এসেছিলেন ২৯ বছর বয়সী এক যুবক। কিন্তু পরীক্ষা করে ধরা পড়ল তার শরীরে জটিলতা। এমআরআই স্ক্যানের মাধ্যমে দেখা গেছে, তার শুক্রাশয় (টেস্টিস) স্ক্রোটাল স্যাক বা শুক্রথলির মধ্যে নেই। আরো ধরা পড়ল, যুবকটির তলপেটে অকার্যকর জরায়ু, ফ্যালোপিয়ান টিউব (গর্ভনালী), সারভিক্স ও পারসিয়াল ভ্যাজাইনা (আংশিক যোনি)।
মুম্বাইয়ের ওই সরকারি জে জে হাসপাতালে যুবকটির অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
জে জে হাসপাতালে ইউরোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক ভেঙ্কট গিতে জানিয়েছেন, ওই লোক বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা করতে হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের ওপিডিতে এসেছিলেন। প্রথমে তাকে দেখে সুস্থ মনে হয়েছিল। কিন্তু পরে যখন পরীক্ষা করে তার শরীরে জটিলতা ধরা পড়ল। স্ক্যানের মাধ্যমে দেখা গেছে, তার শুক্রাশয় (টেস্টিস) স্ক্রোটাল স্যাক বা শুক্রথলির মধ্যে নেই। এতে তার অস্ত্রোপচার করা জরুরি হয়ে পড়ল। কেননা অস্ত্রোপচার না করলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকতেন তিনি।
তিনি বলেন, অস্ত্রোপচার শুরু করলাম তার শরীরে ইউটেরাসের (জরায়ু) মতো একটি অঙ্গ দেখতে পেলাম। অস্ত্রোপচার বন্ধ করে আমরা তার এমআরআই পরীক্ষা করলাম। স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির দেহে নারী জননাঙ্গের উপস্থিতি ধরা পড়ে। তার দেহে জরায়ু, ফ্যালোপিয়ান টিউব, সারভিক্স ও আংশিক যোনি ছিল। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেগুলো ফেলে দেয়া হয়েছে।
ভেঙ্কট গিতে জানান, এই রোগ খুবই বিরল। এখনো পর্যন্ত এমন ২০০টি ঘটনা দেখা গেছে।
তিনি জানান, শরীরের এই সমস্যাকে পারসিসটেন্ট মুলেরিয়ান ডাক্ট সিনড্রোম বলা হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই লোকের বন্ধ্যাত্ব দূর করা যাবে না। তার ‘অ্যাজুস্পার্মিয়া’র সমস্যা রয়েছে। এক্ষেত্রে তার বীর্যে কোনো শুক্রাণু নেই। তবে তার যৌন সম্পর্ক স্থাপনে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
জানা গেছে, ওই যুবক ও তার স্ত্রীকে মানসিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেও বলা হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে বিবাহিত জীবনে এর কোনো প্রভাব না পড়ে।