লাল লাল ছোট ফলগুলো দেখতে খুবই চমৎকার। শুধুমাত্র সুস্বাদু ভিটামিন
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৫১ এএম, ১৬ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীকে আমরা ভেষজ ঔষধি গাছ বলেই চিনে থাকি। অ্যালোভেরা গাছের গোঁড়া থেকেই সবুজ রঙের পাতা হয় এবং পাতাগুলো পুরু ধরণের হয় যার দুই পাশেই করাতের মত ছোট ছোট কাঁটা থাকে।
পাতার ভেতরে স্বচ্ছ পিচ্ছিল ধরণের শাঁস থাকে যাকে অ্যালোভেরা জেল বলা হয়। এই গাছের পাতা থেকেই নতুন গাছ জন্মায়। এই অ্যালোভেরার শরবত খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারি। যা শরীরকে সুস্হ রাখে।
অ্যালোভেরার এক একটি গাছ পাল্টে দিতে পারে অনেকের জীবন। গাছ বাড়িতে রাখা যে কতটা শুভফলদায়ক তা একাধিক উদাহরণ স্পষ্ট করে দেয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, একাধিক গাছের একাধিক গুণের জন্য আর্থিকভাগ্য তুঙ্গে থাকতে পারে অনেকেরই।
কোন কোন গাছ বাড়িতে থাকলে তা কীরকম ফল দেয়। অ্যালোভেরা যেকোনও বাড়িতে গেলেই দেখ যায়, সেই বাড়ির ছাদে বা রয়েছে অ্যালোভেরা গাছ।
বাস্তুশাস্ত্রবিদরা বলছেন, অ্যালোভেরা গাছ যদি বাড়িতে রাখা যায় তাহলে অনেকাংশে উন্নতি হতে পারে বাড়ির মালিকের। এই গাছ স্বাস্থ্য থেকে অর্থভাগ্য সুখকর পরিস্থিতি রাখে বলে দাবি জ্যোতিষশাস্ত্রবিদদের। তবে গাঠটিকে রাখতে হবে পূর্ব দিকে কিংবা উত্তর দিকে।
ত্বকের সুরক্ষায় অ্যালোভেরার কোন তুলনা হয় না। কারণ অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিএইজিং উপাদান যা ত্বকের সুরক্ষায় বিশেষ ভাবে কাজ করে থাকে। ত্বকের নানা সমস্যা যেমন ব্রণ, ইনফেকশন এমনকি ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অ্যালোভেরার রস সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করলে ব্রণ এবং ব্রণের দাগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
অনেকেই আছেন যারা পেটের সমস্যা বা হজমের সমস্যায় ভোগেন। তারা যদি অ্যালোভেরার শরবত পান করেন তাহলে সেটি মহাঔষধ হিসেবে কাজ করবে।
এছাড়াও অ্যালোভেরার আরো একটি বিশেষ গুণ হলো এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া জনিত সমস্যার সমাধান করে দেয়। অ্যালোভেরা শুধুমাত্র হজম শক্তিই ভালো করে না। পেটের সব ধরনের অসুখ নিরাময় করে থাকে।
যদি অ্যালোভেরার রস রক্তের সঙ্গে মিশে যায় তাহলে রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। এতে করে আমাদের দেহের শিরা উপশিরায় অক্সিজেন সম্বলিত রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায় এবং তা আমাদের হৃদপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
বৃটিশ মেডিকেলের গবেষকদের মতে অ্যালোভেরার রস রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এতে করেও হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ডাক্তাররাও বেশীরভাগ সময় হৃদপিণ্ডের রোগীদের নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
গবেষণায় দেখা যায় যারা নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করেন তাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম অন্যান্যদের তুলনায় প্রায় ৪০% বেশি উন্নত থাকে। অ্যালোভেরার রস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ১ গ্লাস অ্যালোভেরার শরবত দেহের সাদা রক্ত কনিকা বাড়ায় যা রোগ প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকরী। এবং অ্যালোভেরার উদ্ভিজ্জ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ইমিউ সিস্টেম অনেক উন্নত করে।
ত্বকের পাশাপাশি অ্যালোভেরা চুলের জন্যও বেশ উপকারি একটি উপাদান। আর প্রতিদিন মাত্র ১ গ্লাস অ্যালোভেরার শরবত খেলে চুলের নানা সমস্যার সমাধান হবে।
যেমন : চুল পড়া, চুলের আগা ফাটা এবং চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যার সমাধান করে অ্যালোভেরা। এছাড়াও অ্যালোভেরার রস সরাসরি তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। তাহলে চুল পড়া ভালো হবে।