শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভাত খেলেও ডায়াবেটিস থাকবে নিয়ন্ত্রণে

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:০২ এএম, ১৬ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

বর্তমানে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এ নিয়ে মানুষের উদ্বেগের কমতি নেই। সবসময় মনে ভয় বেড়ে গেলো নাকি ডায়াবেটিসের পরিমাণ? এজন্য তো অনেকে ভাত খাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন। শুধু রুটিতেই পেট চলছে। ভাত খেতে পারছেন না? সব সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার রিসার্চের বিজ্ঞানীরা। তারা এমন কিছু ধানের নতুন ভ্যারাইটি আবিষ্কার করেছেন যাদের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স শুধু কমই নয় বরং সেগুলো খাওয়া ডায়াবেটিসের রোগিদের উপকারি বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

ভাত ডায়াবেটিসের রোগিদের বেশী খাওয়া নিষেধ। সেই দিন এবার অতীত। নিশ্চিন্তে ভাত খেতে পারেন। তবে সেটা পরিমিত। এই নতুন প্রকারের ধানগুলো হল ললাট ৫৩ দশমিক ১৭ (GI–53.17), বিপিটি ৫২০৪ (GI– 51 দশমিক 42), সম্পদ ৫১ (GI– 51), সাম্বা মাশুরি ৫৩ (GI -53)। এই নতুন ধরনের ধানের  ভাত গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার দরুন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। এর মান্যতা দিয়েছে ন্যাশনাল ইনসটিটিউট অফ নিউট্রিশন।

প্রসঙ্গত, এদেশের বেশিরভাগ মানুষই ভাত খেতেই অভ্যস্ত পছন্দ করেন। অথচ ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭০ থেকে ৮০ এর মধ্যে থাকে, যা অন্যান্য দানাশস্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) যুক্ত খাবার খাওয়া ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বিজ্ঞানীরা চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) ৫০ এর মধ্যে আনার চেষ্টা করেছেন এবং সেই সমস্ত ভ্যারাইটিগুলো অবশ্যই উচ্চফলনশীল। ইতিমধ্যেই পার্শ্ববর্তী দেশে এর চাষ শুরু হয়েছে।
 
ডায়াবেটিস হরমোন সংশ্লিষ্ট রোগ। দেহযন্ত্র অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয়, তাহলে যে রোগ হয় তা হলো ‘ডায়াবেটিস’ বা ‘বহুমূত্র রোগ’। তখন রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতিজনিত অসামঞ্জস্য দেখা দেয়। ইনসুলিনের ঘাটতিই হল এ রোগের মূল কথা। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন ইনসুলিন, যার সহায়তায় দেহের কোষগুলো রক্ত থেকে গ্লুকোজকে নিতে সমর্থ হয় এবং একে শক্তির জন্য ব্যবহার করতে পারে। ইনসুলিন উৎপাদন বা ইনসুলিনের কাজ করার ক্ষমতা-এর যেকোনো একটি বা দুটোই যদি না হয়, তাহলে রক্তে বাড়তে থাকে গ্লুকোজ। আর একে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ঘটে নানা রকম জটিলতা, দেহের টিস্যু ও যন্ত্র বিকল হতে থাকে।