বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘রংপুরে নয়, এরশাদের দাফন ঢাকাতেই’

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:৫৪ এএম, ১৬ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নির্বাচনী এলাকা রংপুরের নেতাকর্মীরা তাকে সেখানেই দাফন করার দাবি জানিয়ে আসছেন। এরইমধ্যে এরশাদের রংপুরের বাড়ি পল্লীনিবাসের লিচুবাগানে তারা কবরও খুঁড়ে ফেলেছেন। তবে তার ভাই জি এম কাদের বলেছেন, রংপুরে নয় ঢাকার বনানীতে সেনা কবরস্থানেই দাফন হবে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে।

বর্তমানে রংপুরে রয়েছে এরশাদের মরদেহ। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে রংপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কফিনবাহী হেলিকপ্টারটি। বেলা ১১টার দিকে এটি রংপুর পৌছায়।

এ সময় হেলিকপ্টারটিতে ছিলেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু।

 

বাদ জোহর রংপুর ঈদগাহ মাঠে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পরে তার কফিন হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। বাদ আসর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কবরস্থানের তাকে সমাহিত করার কথা রয়েছে। কিন্তু রংপুরের মেয়র ও জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা ‘যেকোনো মূল্যে’ এরশাদের মরদেহ রংপুরে রেখে দেবেন।

তার যুক্তি, বনানী সেনানিবাস কবরস্থানে এরশাদের মরদেহ দাফন করা হলে পরে দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা সে কবরে গিয়ে সহজে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবেন না। পরে তারা এরশাদের বাড়ি রংপুরের পল্লী নিবাসে কবরও খুঁড়ে রেখেছেন। এরশাদ নিজেই পল্লীনিবাসের প্রাঙ্গণে শায়িত হতে চেয়েছিলেন- এমন কথাও রংপুরের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। 

এরশাদের কফিন নিয়ে রংপুরে রওনা দেয়ার আগে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, উনার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বনানীতে সেনাবাহিনীর কবরস্থানেই তাকে সমাহিত করা হবে। এই কবরস্থান ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হলেও যেকোনো সময় যে কেউ সেখানে যেতে পারে।