বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মৎস্যখাতের উন্নয়নে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:৩৮ এএম, ১৭ জুলাই ২০১৯ বুধবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে বিপুল সম্ভাবনাময় মৎস্যখাতের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আগামীকাল বুধবার ১৭ থেকে ২৩ জুলাই ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯’ উপলক্ষে মঙ্গলবার এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রতি বছরের মতো এবারও ১৭ থেকে ২৩ জুলাই ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯’ পালন করা হচ্ছে জেনে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে তিনি দেশের মৎস্যচাষি ও মৎস্যজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

 

এ বছরের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের স্লোগান ‘মাছ চাষে গড়বো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মৎস্যখাত বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম অগ্রাধিকারভুক্তখাত। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সরকার এ খাতে পরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও জোরদারকরণ, বিল নার্সারি কার্যক্রম গ্রহণ ও মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, মৎস্য অভয়াশ্রম সৃষ্টি, গবেষণার মাধ্যমে উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। 

এ ছাড়াও প্রাকৃতিক জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশবান্ধব ও উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে দেশ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ‘জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার দ্য স্টেইট অব ওয়ার্ল্ড ফিসারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার ২০১৮’ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে ৩য় স্থান এবং বদ্ধ জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে ৫ম স্থান অধিকার করেছে। বর্তমানে দেশের মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ মৎস্যখাতের অবদান।

 

তিনি বলেন, রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ অর্জনের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ মৎস্য সম্পদের পাশাপাশি সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ একটি অপার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। গবেষণা ও জরিপ জাহাজ, আর ভি মীন সন্ধানী কর্তৃক জরিপ কাজ পরিচালনা করে এ পর্যন্ত ৪৩০ টি সামুদ্রিক মৎস্য প্রজাতি সনাক্ত করা হয়েছে। সামুদ্রিক মৎস্য প্রজাতির সর্বোচ্চ আহরণ মাত্রা নির্ধারণ করে সহনশীল মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করে জেলেদের জীবনমান উন্নয়ন করা একান্ত প্রয়োজন। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এবং জেলেদের জীবনের নিরাপত্তা বিধানে ভিটিএমএস মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।