‘নারীর ক্ষমতায়নের পূর্ণ বাস্তবায়ন অপরিহার্য’
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:৪১ এএম, ১৭ জুলাই ২০১৯ বুধবার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বৈশ্বিকভাবে লিঙ্গসমতা আনয়নের জন্য ‘প্লানেট ৫০-৫০’ অর্জনে নারীর ক্ষমতায়নের পূর্ণ বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে এবং নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পদক্ষেপসমূহকে আরো শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
সোমবার সকালে জাতিসংঘ সদরদফতরে‘টেকসই বিশ্বের জন্য লিঙ্গসমতা ও নারী নেতৃত্ব’ শিরোনামে লিঙ্গসমতা বিষয়ক বৈশ্বিক নেতাদের অনানুষ্ঠানিক সভায় ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য লিঙ্গসমতা ও একীভূত সমাজ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মিজ্ মারিয়া ফার্নান্দে এসপিনোসা গার্সেজ সভাপতিত্ব করেন।
লিঙ্গসমতা অর্জনে বিশ্বনেতাদের করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করে স্পিকার বলেন, ক্ষমতা-কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য এমপিদের সক্রিয় ভূমিকা থাকতে হবে।
এ সময় তিনি এমপিদের লিঙ্গসমতা অর্জনে ক্ষমতা-কাঠামো পরিবর্তনে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে লিঙ্গসমতা অর্জন ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি অতিদরিদ্র নারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সৃষ্টি, বিধবা ভাতা, প্রসূতি নারীদের ভাতা, পেশা উন্নয়ন ও তথ্য-প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধসহ যেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে তা উল্লেখ করেন। তিনি প্লানেট ৫০-৫০ অর্জন এখন সময়ের দাবি বলেও উল্লেখ করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নারী ক্ষমতায়নের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সংসদ নেতা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পীকার, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা এবং বর্তমান মন্ত্রী পরিষদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন নারীরা। নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে ৫০টি এবং বর্তমান সংসদে ২৩ জন নারী এমপি সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
পরে স্পিকার জাতিসংঘ সদরদফতরে এইচএলপিএফ এর পার্লামেন্টারি ফোরাম আয়োজিত ‘গ্রোয়িং ইনিকোয়ালিটিস অ্যান্ড ডিসট্রাস্ট ইন গভর্নমেন্ট: ব্রেকিং দ্য সাইকেল’ বিষয়ক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এর সভাপতি মিজ্ গ্যাব্রিয়েলা কুইভাস ব্যারন এ সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন। সারাদিনের এই আলোচনা অনুষ্ঠানসমূহে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।