বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কোরবানির ঈদ পর্যন্ত বিদেশি গরু প্রবেশ নিষিদ্ধ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:৪৩ এএম, ১৭ জুলাই ২০১৯ বুধবার

খামারিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্তপথে বৈধ-অবৈধ সব ধরনের গবাদিপশুর আমদানি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ জন্য সারাদেশে কোরবানিযোগ্য প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ গবাদিপশুর মজুদ করা হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় বেশি। 

মঙ্গলবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু সভাপতিত্ব করেন।

সভায় ঈদুল আজহার পশুর সংখ্যা নিরুপণ, কোরবানির হাটবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর ক্রয়-বিক্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা, বিক্রেতাদের নিরাপত্তা ও পশুর গাড়ি ছিনতাই রোধের বিষয়ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা হয়।

এতে জানানো হয়, দেশ মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পর থেকে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। আগে প্রতিবছর ২৪-২৫ লাখ ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঘটলেও ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৯২ হাজার।

এবার সারাদেশে কোরবানির যোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১০ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে বলে জানানো হয়।

গত বছর ঈদে কোরবানির যোগ্য গবাদিপশুর মোট সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ এবং কোরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখের মতো।

সভায় জানানো হয়, ঈদে ঢাকাসহ দেশের উল্লেখযোগ্য হাটে পশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের আওতায় মোট ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির হাটে দুটি করে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে।

এছাড়া স্বাস্থ্যহানিকর স্টেরয়েড ও হরমোন ইনজেকশনের মাধ্যমে গরু মোটতাজাকরণ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যসম্মত মোটাতাজাকরণকে উৎসাহিত করতেও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো কাজ করবে।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী পশু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা ও অতিরিক্ত হাসিল আদায় রোধ এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর জোর দেয়া হয়।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নাথুরাম সরকারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।