রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হজে বিশ্বনবী (সা.) এর পঠিত তালবিয়া ও দোয়া

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:১৮ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৯ বুধবার

সামর্থবান প্রত্যেক মুমিন বান্দার জন্য অতি তাড়াতাড়ি হজ সম্পন্ন করা জরুরি। কারণ মুমিন বান্দাকে দ্রুততম সময়ে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্যে পৌঁছে দেয়ার অন্যতম ইবাদত হচ্ছে ‘হজ’।  

হজ যেমন মুমিন বান্দাকে আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌছে দেয় তেমনি হজ মুসলিম উম্মাহকে এক পোশাক তথা ইহরামের সাদা পোশাকে আল্লাহর হুকুম পালনে তারই পথে কাজ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী মহাজাতিতে পরিণত করে দেয়।

তাইতো মুমিন বান্দাকে সঠিক আক্বিদা বিশ্বাস, সঠিক পদ্ধতি ও একনিষ্ঠ নিয়তের মাধ্যমে হজ সম্পাদন করতে হবে। থাকতে হবে নির্ভেজাল ও শিরকমুক্ত।

 

হুবহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মতোই পালন করতে হবে হজের যাবতীয় কার্যাদি। তাই হজে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পঠিত তালবিয়া ও দোয়া পড়া মুমিন উম্মাহর জন্য একান্ত আবশ্যক। আর তা তুলে ধরা হলো-

বিশ্বনবির তালবিয়া: ইহরাম বাঁধার পর থেকে কাবা শরিফে পৌছা পর্যন্ত ইহরামের নিষিদ্ধ বস্তুসমূহ থেকে বিরত থাকা এবং হালাল হওয়ার আগ পর্যন্ত পুরুষরা উচ্চ স্বরে আর নারীরা নিম্নস্বরে তালবিয়া পড়বেন-

لَبَّيْكَ اَللّهُمَّ لَبَّيْكَ – لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ – اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ – لاَ شَرِيْكَ لَكَ

উচ্চারণ : ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক।’

অর্থ : ‘আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত, আমি হাজির; তোমার কোনো অংশীদার নেই; আমি উপস্থিত, নিশ্চয় যাবতীয় প্রশংসা; অনুগ্রহ ও সম্রাজ্য সবই তোমার, তোমার কোনো অংশীদার নেই।’ (মুয়াত্তা, তিরমিজি)।

মনে রাখতে হবে: এটি বিশ্বনবীর তালবিয়া, জাহেলি যুগে আরবরা তাওয়াফের সময় শিরকি তালবিয়া পড়তো। আবার ইসলামি চিন্তাবিদদের মতো, বিশ্বনবী পঠিত তালবিয়া ছাড়া বাড়িয়ে কিংবা কমিয়ে তালবিয়া পড়ার ব্যাপারে বিভিন্ন মতভেদ উপস্থাপন করেছেন।

তাই তালবিয়া পড়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে তালবিয়া পড়তেন তা পড়াই সর্বোত্তম। এতে বাড়ানোর কিংবা কমানোর কোনো প্রয়োজন নেই।

তালবিয়ার পর বিশ্বনবীর দোয়া: তালবিয়া পড়ার পর জান্নাতের কামনা ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় লাভে সহিহ হাদিসে বর্ণিত দোয়া পড়া যাবে। হাদিসে এসেছে-

اَللَّهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ الْجَنَّةَ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ النَّارِ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাহ ওয়া আউজুবিকা মিনান নার।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করছি এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।’ (আবু দাউদ, ইবনে হিব্বান)।

অথবা-

رَبِّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبادَكَ

উচ্চারণ : ‘রাব্বি ক্বিনি আজাবাকা ইয়াওমা তাবআছু ইবাদাক।’

অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার আজাব থেকে আমাকে বাঁচাও; যেদিন তোমার বান্দাদের তুমি পুনরুত্থান ঘটাবে।’ (মুসলিম, মিশকাত)।

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর সব হজ পালনকারীকে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পঠিত তালবিয়া ও দোয়া পড়ার তাওফিক দান করুন। তালবিয়ায় শব্দ বাড়ানো কিংবা কমানো থেকে বিরত থেকে হাদিসে বর্ণিত সহিহ দোয়াগুলোর মাধ্যমে জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।