বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ২২ ১৪৩১   ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শুধু কনটেন্ট চার্জেই চলবে সিনেমা : ইকবাল

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:০৬ এএম, ১৮ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার

দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রের মাদার অরগানাইজেশন বলে পরিচিত চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএফডিসিতে অবস্থিত প্রযোজক পরিবেশক সমিতির কার্যালয় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। প্রার্থীরা চলচ্চিত্রের সংকট শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সাধারণ প্রযোজকদের। 

নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন শাকিব খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রযোজক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। চলচ্চিত্রের ও চলচ্চিত্র প্রযোজকদের স্বার্থে কাজের বিষয়ে ডেইলি বাংলাদেশকে তিনি বলেন, আমাদের দেশে পেশাজীবী প্রযোজকদের সংখ্যা কমেছে। মৌসুমি প্রযোজকরা চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন বেশি। যদিও আমি নিয়মিত চলচ্চিত্র প্রযোজনা করছি। প্রযোজকরা সিনেমা মুক্তি দিলে সিনেমা হল থেকে সঠিক হিসাব পাচ্ছেন না, যে কারণে পেশাজীবী প্রযোজকরা নিয়মিত চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। 

আমি মনে করি, এই সমস্যা সবার আগে সমাধান করা উচিত। আমি নির্বাচিত হলে ই-টিকেটিংয়ের ব্যবস্থা করব সারা দেশের সিনেমাগুলোতে। সে ক্ষেত্রে সরকারি অনুদান না পেলেও এসকে ফিল্মেস‘র ব্যানারে শাকিব খানের সঙ্গে আমি সেন্টাল সার্ভার ও ই-টিকেটিংয়ের ব্যবস্থা করব। 

 

আগামী ঈদ থেকেই এই ব্যবস্থা চালু হবে। তখন চলচ্চিত্র প্রদর্শনে প্রযোজকদের শুধু কনটেন্ট চার্জ দিলেই হবে। পদে পদে বারতি খরচ করতে হবেনা। এতে করে একজন প্রযোজকের লগ্নীকৃত টাকা ফেরতের সঙ্গে সঙ্গে ভালো ব্যবসার সুযোগ বারবে।

তা ছাড়া অনুদানের চলচ্চিত্র নিয়ে আমাদের কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। কারণ যারা অনুদান পায়, তাদের বেশির ভাগই নিয়মিত প্রযোজক নয়। আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলে নিয়মিত প্রযোজকরা যেন অনুদানের চলচ্চিত্র পায়, আমরা সেই ব্যবস্থা করব ইনশাআল্লাহ।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনকৃত এফবিসিসিআইর অঙ্গসংগঠন। মামলা ও নানা জটিলতার কারণে সাত বছর ধরে বন্ধ ছিল এই সমিতির নির্বাচন। আগামী ২৭ জুলাই এই সমিতির নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এর আগে নির্বাচন হয় ২০১১ সালের ১৮ আগস্ট।

এবারের নির্বাচনে কোনো প্যানেল থাকছে না। নির্বাচন হবে দুই ধাপে। প্রথমে সাধারণ সদস্যরা ১৯ জন নির্বাহী সদস্যকে নির্বাচিত করবেন। এরপর ১৯ জন মিলে সম্পাদকীয় পদের জন্য ১০ জনকে নির্বাচিত করবেন।

 

নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অর্থাৎ নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিরাজুল ইসলাম উকিল। 

সদস্য হিসেবে থাকবেন মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন (উপসচিব), মো. খাদেমুল ইসলাম (সহকারী প্রোগ্রামার)। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন আবদুর রহিম খান (যুগ্ম সচিব), সদস্য আব্দুছ সামাদ আল আজাদ (যুগ্ম সচিব), সৈয়দা নাহিদা হাবিবা (উপসচিব)