বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পলিথিনে ভরে সন্তানকে স্কুলে পৌঁছে দিচ্ছেন বাবা! (ভিডিও)

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:২৫ এএম, ১৮ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার

সন্তানকে লেখাপড়া শিখে মানুষ হতে হবে। প্রত্যেক বাবা-মায়ের এটাই প্রধান চাওয়া। আর এ জন্য সন্তানকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিদিন প্লাস্টিকের ব্যাগে করে বিপজ্জনক নদী পার করে স্কুলে পৌঁছে দিচ্ছেন বাবা। 

ভিয়েতনামের একটি পল্লির সন্তানদের স্কুলে পৌঁছে দিতে এমনই অভাবনীয় কাজ করছেন শিশুদের অভিভাবক। স্কুলে সন্তানদের পৌঁছে দিতে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে তাদেরকে নদী পার করে দেন। স্কুল শেষ হলে একই উপায়ে নদী পার করে আনেন।

মিরর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম ভিয়েতনামের হুওউ হাই গ্রামের ৫০ জন শিশুকে নাম মা নদী পার করে প্রতিদিন এভাবে স্কুলে পৌঁছে দেন তাদের বাবারা।

 

সাধারণত এসব বাচ্চারা বাঁশের ভেলা ও রশি দিয়ে বানানো বিশেষ এক পদ্ধতিতে নদী পার হয়। এসময়ও বাবারা বাচ্চাদের ভেলার ওপর রেখে রশি টেনে নদী পার করেন। তবে বর্ষাকাল শুরু হওয়ায় ভারী বর্ষণে বন্যায় নদীর পানি অসম্ভব বেড়ে গেছে এবং বিপজ্জনক রূপ ধারণ করেছে।   

এ কারণে বাঁশের ভেলায় বাচ্চাদের নদী পার করার বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। এরপরই বাবারা তাদের বাচ্চাদের প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে নদী পার করার পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন।

ভিডিওতে দেখা গেছে, বড় একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে স্কুল ব্যাগ, জামা-কাপড় ও বাচ্চাকে ভরে নিয়ে মুখ আটকে দেন তাদের বাবা। এরপর প্লাস্টিকের ব্যাগ নদীতে ভাসিয়ে নিয়ে সাতরে নদী পার হন তারা। এভাবেই প্রতিনিয়ত বাচ্চাদের পৌঁছে দেওয়ার কাজটি সম্পন্ন করছেন এসব বাচ্চাদের বাবারা।

এই পদ্ধতিকে বিপজ্জনক হিসেবে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রধান। না সাং সম্প্রদায়ের চেয়ারম্যান ভাং এ পো বলেন, প্লাস্টিকের ব্যাগে করে বাচ্চাদের পারাপারের বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে সতর্ক করা হয়েছে। তবে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁশের ভেলা ভেসে যাতে পারে এজন্য তারা এই পদ্ধতি বেছে নিতে হয়েছে।

 

স্থানীয় মৌয়ং ছা জেলার চেয়ারম্যান হুয়েন মিনহ হু বলেন, প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে বাচ্চাদের নদী পার করার পদ্ধতি এই অঞ্চলে স্বাভাবিক। তবে যখন বাঁশের ভেলা ব্যবহার বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায় তখনই কেবল এমন পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। যদি এসব ছেলে-মেয়ে এভাবে নদী পার না হয় তবে স্বাভাবিক ভাবে সেতু দিয়ে নিরাপদে তাদের স্কুলে যেতে ৫ ঘণ্টা সময় লাগবে। অনেক সময় শিশুরা স্কুলেই থাকে সপ্তাহান্তে তারা বাড়িতে যায়।

ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন