মাছ উৎপাদনে আমরা প্রথম হতে চাই: প্রধানমন্ত্রী
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:৫০ পিএম, ১৮ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার
দেশের প্রতিটি বাড়ির আশপাশের ডোবা, পুকুর ও জলাশয় ফেলে না রেখে মাছ চাষ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা নির্বাচনি ইশতেহারে উল্লেখ করেছিলাম, সুষম পুষ্টিমান সম্পন্ন খদ্য নিশ্চিত করবো। আমরা খাদ্য ঘাটতি পূরণ করেছি। এখন লক্ষ্য পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা।
বৃহস্পতিবার সকালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিল, ঝিল, হাওর, বাওর, নদী নালায় পরিকল্পিতভাবে মাছ চাষ করতে হবে। মাছের চাইতে এত নিরাপদ আমিষ আর নেই। মিষ্টি পানির মৎস্য উৎপাদনে আমরা পৃথিবীর তৃতীয় স্থানে রয়েছি, আগামীতে আমাদের লক্ষ্য থাকবে প্রথম স্থান অধিকার করার।
প্রধানমন্ত্রী মৎস উৎপাদন এবং রফতানির ক্ষেত্রে মাছের মান বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মাছ হচ্ছে পুষ্টির নিরাপদ উৎস। নিজের পতিত জলাশয়ে মাছ চাষের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। কোনও একটা জায়গা যেন পড়ে না থাকে। এসব স্থানে মাছ চাষ করলে নিজে খেয়ে বিক্রিও করা যায়। আমরা খাদ্যে, শিক্ষায়, সমৃদ্ধিতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী সামনের কোরবানির ঈদের পরিচ্ছন্নতা বজার রাখার তাগিদ দিয়ে বলেন, কোরবানির পশুর হাড়, চামড়া সব সংগ্রহ করে যেন আমরা কাজে লাগাতে পারি। কোরবানির জন্য আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
‘মাছ চাষে গড়বো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্লোগান নিয়ে প্রতিবারের ন্যায় এবারো দিবসটি পালিত হবে। এ বছর মৎস্য খাতে অবদানের জন্য আটটি স্বর্ণ ও নয়টি রৌপ্য পদক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। সপ্তাহটি উদযাপন উপলক্ষ্যে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (কেআইবি) প্রাঙ্গণে সপ্তাহব্যাপী ‘মৎস্য মেলা’ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় তিন দিনব্যাপী মৎস্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব রাইসুল আলম মন্ডল, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক।