বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হুমায়ূন আহমেদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:৪০ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার

বরেণ্য কথাশিল্পী, চলচ্চিত্র-নাটক নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (শুক্রবার)। ২০১২ সালের আজকের এইদিনে (১৯ জুলাই) তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকেনা জেলার মোহনগঞ্জে জন্মগহণ করেন। তার বাবার নাম ফয়জুর রহমান (একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী তাকে হত্যা করে)। মা আয়েশা ফয়েজ।

তিনি ১৯৬৭ সালে বগুড়া জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা (রাজশাহী বিভাগে মেধা তালিকায় দ্বিতীয়), ১৯৬৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাবস্থায় ১৯৭২ সালে তার প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে ’ প্রকাশিত হয। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় উপন্যাস ‘শঙ্খনীল কারাগার’।

তার জীবিতকালে দুই শতাধিক বই প্রকাশিত হয়। হুমায়ূন আহমেদ শিক্ষকতায় ছিলেন দীর্ঘদিন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরববর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। লেখালেখিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে শিক্ষকতা থেকে তিনি অবসর নেন।

বরেণ্য এই কথাশিল্পীর উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো, জোছনা ও জননীর গল্প, মধ্যাহ্ন, কিশোর সমগ্র, হিমুর আছে জল, লীলাবতী, হরতন ইস্কাপন, হিমুর বাবার কথামালা, গল্প পঞ্চাশ, আমিই মিছির আলী, হিমু রিমান্ডে, মিছির আলীর চশমা, দিঘির জলে কার ছায়া গো, আজ হিমুর বিয়ে, লিলুয়া বাতাস, কিছু শৈশব, হুমায়ূন আহমেদের ভৌতিক অমনিবাস, আগুনের পরশমনি, পাপ, ৭১, শ্রাবন মেঘের দিন।

তার নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে শঙ্খনীল কারাগার, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা ও শ্যামল ছায়া।

 

সাহিত্যে অবদানের জন্য একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

শিল্প-সংস্কৃতির প্রসারে হুমায়ূন আহমেদ গাজীপুরে প্রতিষ্ঠা করেন ‘নুহাশ পল্লী’। দিবসটি স্মরণে নুহাশ পল্লীর সমাধিতে দিনভর পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন স্বজন ও ভক্তরা। তিনি মারা গেলেও তার স্মৃতি এবং নুহাশপল্লী মানুষকে টানছে বারবার।  

স্মৃতিতে এখনো হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে আছেন নুহাশপল্লীর প্রতিটি কর্মচারির মনের গহীনে। তার হাঁটাচলা ও কথা বলা খুব মিস করেন বলে জানালেন এখানে কর্মরত ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বুলবুল ও অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারিরা। স্বামীর কবর জিয়ারত করতে ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশ পল্লীতে আসবেন স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। এছাড়াও লেখকের ভাই ও অন্য সন্তানসহ ভক্তরা আসবেন বলে জানিয়েছেন নুহাশ পল্লীর কর্মচারীরা।

দিনটি উপলক্ষে গাজীপুরের পিরোজআলী নুহাশ পল্লীতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে স্থানীয় কয়েকটি এতিম খানার ছাত্রদের নিয়ে কবর জিয়ারত, কুরআন তিলওয়াত, দোয়া মাহফিল ছাড়াও ভক্তদের কর্মসূচি রয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের প্রতি প্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হবেন এই লেখকের অনুরাগী হিমু পরিবহন।