‘ভারতের প্রতি ইঞ্চি জমি বিদেশি মুক্ত করা হবে’
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:২৩ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার
ভারতের প্রতি ইঞ্চি জমি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী থেকে মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাজ্যসভায় এ ঘোষণা দেন।
আসামে বিদেশিদের চিহ্নিত করতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকার (এনআরসি) কাজ হচ্ছে আসাম চুক্তি অনুসারে। সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতেই এই চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।
এদিকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে বলে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু কাজ যে ঠিকভাবে এগোচ্ছে না, প্রকৃত নাগরিকেরা বাদ পড়ছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
রাজ্যসভায় তিনি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টকে সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ও আসাম সরকার উভয়েই শীর্ষ আদালতে আর্জি রেখেছে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ২০ শতাংশ ও বাকি জেলাগুলোতে ১০ শতাংশ এনআরসি তথ্য যাচাই করতে দেয়া হোক।
বৃহস্পতিবার পুরো দেশে-বিদেশি সন্ধান ও বিতাড়নের ঘোষণা দেন অমিত শাহ। রাজ্যসভায় সমাজবাদী পার্টির সদস্য জাভেদ আলি খান জানতে চেয়েছিলেন, আসামের পরে দেশের বাকি রাজ্যগুলোতেও কি জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা তৈরি হবে?
এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি খুবই ভালো প্রশ্ন। আসাম চুক্তির অঙ্গ এনআরসি। আর বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারেও এ কথা রয়েছে। সরকার দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি থেকে অবৈধভাবে বসবাসকারী অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করবে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
কলকাতার জনপ্রিয় আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, প্রশাসনকে শুধু একটি রাজ্যে এনআরসি তৈরি করতে গিয়েই হিমশিম খেতে হচ্ছে। পুরো ভারতে সেই প্রক্রিয়া চালু করতে গেলে কী পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তা নিয়ে আশঙ্কা বাড়িয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা।
প্রসঙ্গত, আসামে প্রথম চূড়ান্ত খসড়ায় ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। নাম তোলার জন্য ফের আবেদন করেছেন ৩৬ লাখ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সেনা-আধাসেনা বাহিনীতে কাজ করার পরও বাদ পড়েছে অনেকের নাম। সন্দেহজনক ভোটার (ডি-ভোটার) তকমা দিয়ে বন্দি শিবিরে পাঠানো হয়েছে অনেককে।
এতে একই পরিবারে কারো নাম থাকছে, আবার কেউ বাদ পড়ছেন। এর ফলে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে। এছাড়া তালিকায় নাম তোলার আবেদন নিয়ে শুনানি হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।