ব্যর্থতা কাটিয়ে ফের চন্দ্র বিজয়ে চন্দ্রায়ন - ২
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:৩৮ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার
প্রথমবারের ব্যর্থতা কাটিয়ে ফের চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে যাচ্ছে ভারতের মহাকাশ যান চন্দ্রায়ন - ২। আগামী ২২ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে স্থানীয় সময় ২টা ৪৩ মিনিটে ফের চন্দ্রায়ন - ২ উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হবে বলে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো থেকে এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে।
১ হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে পরিচালীত এই চন্দ্রাভিযান সফল করতে পারলে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের পর চতুর্থ দেশ হিসাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের ইতিহাস গড়তে পারবে ভারত। - খবর এনডিটিভি
গেল ১৫ জুলাই ওই যানটি প্রথমবারের মতো উৎক্ষেপণের চেষ্টা চালানো হয়। তবে উৎক্ষেপণের ৫৬ মিনিট আগে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রথমবারের প্রযুক্তিগত সমস্যার পর আরও সতর্ক হয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো। আগামী সোমবার যাতে সব বাধা কাটিয়ে সফলভাবে ওই মহাকাশযানকে উৎক্ষেপণ করা যায় তার জন্যে সবরকম প্রস্তুতিই নিয়ে রাখছে তারা।
ইসরো’র একজন কর্মকর্তা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, যদি আগের দিন উৎক্ষেপণের সময় ওই সমস্যাটি সমাধান করা না হত, তবে চন্দ্রায়ন - ২ "পুরোপুরি ব্যর্থ" হত।
"সমস্যাটা গুরুতর ছিল, কিন্তু সেটি সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে, আমরা চন্দ্রায়ন – ২ উৎক্ষেপণের আগে আগেই সমস্যাটি ধরতে পেরেছিলাম। আর সেটা ধরতে পারায় ওই সতর্কতা অবলম্বন করি আমরা। প্রায় দেড়শো কোটি ভারতীয়ের প্রার্থনা এবং শুভেচ্ছা এই মিশনটির ব্যর্থতা এড়াতে সাহায্য করেছিল", বলেন ওই কর্মকর্তা।
প্রযুক্তিগত সমস্যাটি জটিল ক্রোজেনিক পর্যায়ে ছিল, এই ধরণের সমস্যা মহাকাশ অভিযানের একেবারে শেষ পর্যায়গুলিতেই সাধারণত ধরা পড়ে।
ইসরো’র ওই কর্মকর্তা জানান, ক্রিজনীয় পর্যায়ে ব্যবহৃত উচ্চ দহনশীল হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন ওই রকেট থেকে সরানো হয় এবং সমস্যাটির সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
৬৪০ টন ওজনের রকেটটির আনুষ্ঠানিক নাম জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেইকেল মার্ক – ৩ (জিএসএলভি এমকে - ৩), যা মূলত 'বাহুবলী' নামেই পরিচিত। এই রকেটটি ৪৪ মিটার দীর্ঘ বা একটি ১৫ তলা ভবনের সমান লম্বা।
লিফট অফে, জিএসএলভি রকেটটিই একটি অরবিটার হিসাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে, যার মাধ্যমে ল্যান্ডার 'বিক্রম' (ইএসআরও প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশিষ্ট ভারতীয় বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাই নামে নামকরণ) এবং মুন রোভারের 'প্রজ্ঞান' -কে পাঠানো হবে।