নারায়ণগঞ্জে ৫টি আসনে জয় পেতে মরিয়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ২০ দিন। নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ৩ জন। জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে ২ জন। বিএনপি থেকে ৪ জন। জোটের শরিক দল জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১ জন।
নারায়ণগঞ্জ ৫টি সংসদীয় আসনের নারী-পুরুষ মোট ভোটার সংখ্যা ২০ লাখ ৩১ হাজার ২৩৩ জন। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭৯০ জন ভোটার রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-২, (আড়াইহাজার) আসনে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬৭ জন। নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭জন। নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনে ৬ লাখ ৫১ হাজার ১২৩ জন। নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্ধর) আসনে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৬ জন।
এসব ভোটারদের মনজয় করতে যেমন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছেন মনোনয়ন এমপি প্রার্থীরা। অন্যদিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের চাওয়া পাওয়া ও দলীয় কোন্দল নিরসনে কাজ করছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একাধিক প্রার্থীরা। তবে জাতীয় পার্টি (জাপা) তে তেমন সমস্যা নেই বলে দাবি দলটির একাধিক নেতার।
নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক ও তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ চলতি বছরের শুরুতে ও মাঝামাঝি সময় হত্যা মামলার আসামি হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনে ২৮জন। দলের সিদ্ধান্ত মতে নারায়ণগঞ্জ-১ নৌকা গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ নৌকা নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ লাঙ্গল লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৪ নৌকা একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ লাঙ্গল একেএম নাসিম ওসমান।
একাধিক প্রার্থীকে দলীয় চিঠি দিয়ে সারাদেশে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছে বিএনপি। দলীয় চিঠি পেয়ে অনেকেই উঠান বৈঠক ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারেও গিয়েছিলেন। তবে তাদের অনেকেই ধানের শীষ প্রতীক পায়নি।
বিএনপির একজন প্রবীণ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একাধিক ব্যক্তিকে চিঠি দিয়ে বিএনপি যেমন ভালো করেছেন, তেমনি এর বিরোপ প্রভার পোহাতে হবে দলটিকে। যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি মহা খুঁশি। যিনি পাননি তিনি সাধারণ ভোটারদের কাছে হয়েছেন লাঞ্চিত।
৩০ ডিসেম্বর ভোটের লাড়াইয়ে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনে লড়বেন কাজী মনিরুজ্জামান মনির, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাশ বাংলাদেশ মনির হোসাইন কাসেমি, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ঐক্যফ্রন্ট এর এসএম আকরাম।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। সময় হলে দেখবেন আমরা এক সাথে মিলে মিশে ভোটারদের কাছে যাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানের সাথে কথা বলা যায়নি। তবে তার কাছের একজন প্রবীন নেতা বলেন, আমাদের অবস্থান ভালো। শামীম ভাই ক্ষমতায় থাকার পর এলাকায় বেশ উন্নয়ন হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, রূপগঞ্জবাসীর আন্তরিকতায় আমি টানা তৃতীয়বার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে সুযোগ পেয়েছি। আমাদের দলে কোন কোন্দল নেই। পরিবার বড় হলে একটু মান অভিমান হতেই পারে।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা জানান, ক্ষমতায় থাকার পরে সোনারগাঁও উপজেলায় সাধ্য মতো উন্নয়ন করেছি। জনগণ চাইলে আবারও উন্নয়ন করার সুযোগ পাবে। তবে প্রবীণ ও তরুণ সব বয়সের লোকজন লাঙ্গলকে আবার বিজয়ী করবেন বলে তিনি আশাবাদী তিনি।
একই আসনের বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলাম আমি। দলের মনোনয়ন পাওয়ার আশায় পদত্যাগ করেছি। দল আমাকে মুল্যায়ন করেছে। ধানের শীষ বিপুল ভোটে জয় লাভ করবে বলেও জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁও আসনে সতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ কায়সার দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমি আশাবাদি জয়ের ব্যপারে। এ আসনে সংসদ সদস্য ছিলাম। সাধারণ মানুষের দাবির মুখে প্রার্থী হয়েছি।