বিভিন্ন রোগের সমাধান রয়েছে এই উপাদানে, জানেন কি?
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার
টকদই শরীর ঠান্ডা রাখে একথা নিশ্চয়ই অনেকেই জানেন! এই বিশেষ উপাদানটি থেকে আরো অনেক উপকার মেলে। সেগুলো জানার আগে জেনে নিন, একবাটি টক দই আপনার শরীরের কী কী অভাব পূরণ করে।
২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম টকদই থেকে ১০০-১৫০ ক্যালোরি, ২ কিলো স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ৩ দশমিক ৫ গ্রাম ফ্যাট, ২০ গ্রাম শর্করা, ৮-১০ গ্রাম প্রোটিন। বাড়তি পাওনা ভিটামিন ডি আর ক্যালসিয়াম। এবার জানুন এর উপকারিতা-
১. যাদের হজমের সমস্যা তারা অবশ্যই ডায়েটে রাখুন টকদই। খাওয়ার পর একবাটি টকদই যেমন খাবার হজমে সাহায্য করে তেমনি অন্য খাবারের পুষ্টিগুণ শোষণে সাহায্য করে। নিয়মিত টকদই খেলে পেটের যাবতীয় সংক্রমণ সেরে যায়।
২. শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় টকদই। আর আপনি যত কম রোগে ভুগবেন ততই সুস্থ থাকবে শরীর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ভ্যাজাইনাল ইস্ট ইনফেকশনও কমায় এই খাবার।
৩. আগেই বলা হয়েছে, টকদইয়ে প্রচুর ক্যালসিয়াম আছে। এই মিনারেলস হাড় আর দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, ক্যালসিয়ামের সঙ্গে ফসফরাস মিশে বাচ্চাদের নতুন হাড়, দাঁত আরো সুগঠিত করতেও সাহায্য করে। রোজ একবাটি টকদই খেলে হাড়ের রোগ, বাত, হাড়ের ক্ষয় হবে না।
৪. আজকের প্রতিযোগিতার বাজারে কে না দুশ্চিন্তা আর অবসাদে ভোগেন? এই সমস্যারও সমাধান লুকিয়ে টকদইয়ে। রোজ এই খাবার খেলে হাসতে হাসতে দুশ্চিন্তা, অবসাদের কবল থেকে মুক্ত থাকবেন আপনি। কীভাবে? টকদই শরীরের পাশাপাশি নার্ভ ঠান্ডা রাখে। আর স্নায়ু বশে থাকলে উত্তেজনা কম হয়।
৫. টকদইয়ের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম ওজন কমাতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম শরীরে কর্টিসল তৈরি হতে দেয় না। অনেকেই জানেন না, শরীরে মেদ জমে কর্টিসলের জন্য। এভাবেই কর্টিসলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে টকদই। সঙ্গে কমায় হাইপার টেনসন।
৬. অনেক পুরুষ যৌন অক্ষমতা কমাতে নানা ধরনের ওষুধ খান। এ সমস্যায় খাওয়ার আগে নিয়মিত টকদই খেলে যৌন অক্ষমতার হাত থেকে রেহাই পাবেন
৭. টকদই যেমন বাড়তি মেদ জমতে দেয় না তেমনি ধমনীতে জমা কোলেস্টরেল নষ্ট করে। এতে হার্ট ভালো থাকে|।
৮. ত্বক আর চুল ভালো রাখতেও সাহায্য করে টকদই। এর মধ্যে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড খুসকি সমেত যেকোনো ফাঙ্গাল ইনফেকশন কমায়। টকদইয়ে থাকা ভিটামিন ই, জিঙ্ক, ফসফরাস রং উজ্জ্বল করে। রোদে পোড়া কালচেভাব কমায়।
সাবধানতা
দিনে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রামের বেশি টকদই খাবেন না। এতে পেট খারাপ হতে পারে। রায়তা, স্যালাড বা শুধু টকদই খেতে পারেন। চাইলে বিটনুন ছড়িয়ে ঘোল বা সরবত বানিয়েও খেতে পারেন। কিন্তু চিনি মিশিয়ে খাবেন না। এতে সব উপকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে।