মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাখির মলসহ সাপ, শামুকও রূপচর্চার উপকরণ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:৫৮ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৯ শনিবার

রুপচর্চার উপকরণের যেন শেষ নেই! সৌন্দর্যের যত্ন-আত্তির জন্য কতদূর অবধি যেতে পারেন সুন্দরীরা নারীর মনের খোঁজ ঈশ্বরই না-কি জানেন না, তো মানুষ! আসলে এর কোনো সীমা নেই। নেই বলেই ভেড়ার প্ল্যাসেন্টা থেকে পাখির মল, ঘা ঘিনঘিনে এসব জিনিসও রূপচর্চার উপকরণ। বিশ্বে প্রচলিত সে রকমই কিছু আজব রূপচর্চার সুলুকসন্ধান এখানে।

বুড়িয়ে যাওয়া ত্বক নিজের বয়সের থেকে বেশি মনে হচ্ছে ত্বকের বয়স সে রকম ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যে বেশ প্রচলিত শিপ প্ল্যাসেন্টা ফেশিয়াল। কী হয় এতে স্ত্রী ভেড়ার প্ল্যাসেন্টা বা গর্ভফুল থেকে স্টেমসেল নিয়ে মেশানো হয় সিরামে। সেটা দিয়ে করা হয় ফেশিয়াল।সিরামে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড আর পেপটিন সাহায্য করে হারিয়ে যাওয়া জেল্লা ত্বকে ফিরিয়ে আনতে।

বাগানের ভিজে মাটির উপদ্রব বা ফরাসি কুইজিনের ডেলিকেসি শুধু নয়, শামুক এখন রূপচর্চার উপকরণ। শামুকের দেহ থেকে ক্ষরণ হওয়া চটচটে পদার্থ গুরুত্বপূর্ণ বায়োলজিক্যাল উপাদান। যা তৈলাক্ত ত্বক থেকে অ্যাকনে ও রিঙ্কল কমাতে সাহায্য করে। ফিরিয়ে আনে হারানো জেল্লা। বিদেশে কোনো কোনো স্পা তো এমন সুযোগও দেয়, যেখানে ত্বকের উপর ঘুরে বেড়ায় জীবন্ত শামুক। তাদের দেহ থেকে ক্ষরণ হওয়া মিউকাসের প্রলেপ পড়ে ত্বকে।

 

বার্ড পু ফেশিয়ালের আর এক নাম নাইটিঙ্গল ফেশিয়াল। জাপানে উদ্ভুত এই ফেশিয়ালে পাখির মল, চালের গুঁড়ো আর জল মিশিয়ে মালিশ করা হয়। কিছু কিছু পাখির মলে বিশেষ এনজাইম বা উৎসেচক থাকে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকও হয়ে ওঠে চকচকে।

চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগে বিয়ার ফেশিয়াল খুবই জনপ্রিয়। মধ্যযুগ থেকেই বিয়ার রূপচর্চার গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। এখন নতুন করে ফিরে এসেছে তার প্রয়োগ। বিয়ারের স্বাভাবিক উপাদান ঈস্ট সাহায্য করে ত্বকের পোরস-এর মুখ পরিষ্কার রাখতে। নির্জীব ত্বকে নতুন প্রাণ আনতে।

ক্যাভিয়ার বিশ্বের মহার্ঘ্যতম খাবার। কিন্তু অন্যদিকে ত্বকের বয়স ধরে রাখতেও এই উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকে কোলাজেনের পরিমাণ বাড়াতেও সাহায্য করে এই উপাদান।

ক্রায়োথেরাপিতে আবার বিশাল ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা হয়। তিন মিনিট থাকতে হয় হিমশীতল তাপমাত্রায়। নর্ডিক ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোতে এই থেরাপি খুবই জনপ্রিয়। এর ফলে হরমোন ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। খেলোয়াড়রা প্রায়ই এই থেরাপি নেন।

 

২৩ ক্যারাটের সোনা দিয়ে ফেশিয়াল। সোনায় থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ত্বক থেকে টক্সিন দূর করে। ত্বক থেকে মুছে দেয় রোদে পোড়া দাগ।

ফ্লোটেশন থেরাপিতে আবার নুন জলে ভাসিয়ে রাখা হয়। এর ফলে ত্বকের ডোপামাইন এবং এন্ড্রোফিনসের পরিমাণ বাড়ে।

শরীরের উপরে খেলে বেড়াবে জীবন্ত ময়াল। সেই মালিশেই নাকি দূর হবে দেহমনের যাবতীয় টেনশন। চরম আতঙ্কের সরীসৃপই এনে দেবে মুশকিল আসান ফেশিয়াল।তবে আপাতত এই ভয়ঙ্কর সুন্দর সাপ মালিশ পাওয়া যায় ইজরায়েল, রাশিয়া, ফিলিপিন্স আর আমেরিকায়।