রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে দুই মামলা
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:৩৪ এএম, ২১ জুলাই ২০১৯ রোববার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দুইটি মামলা করা হয়েছে।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রথমে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অন্যদিকে ঢাকা বারের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইব্রাহিম খলিল ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সফিয়ানের আদালতে দ্বিতীয় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন।
প্যানেল কোডের ১২৩ (এ), ১২৪ (এ) ও ৫০০ ধারায় মামলাটি আমলে নেয়ার জন্য তারা আদালতে আবেদন করেন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাক্ষাতের ভিডিও ভাইরাল হলে পুরো দেশে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশ বিষয়ে মিথ্যাচার করছেন। তিনি ট্রাম্পের কাছে অভিযাগ করে বলছেন; বাংলাদেশে ৩৭ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধকে গুম (ডিজএপিয়ার), খুন ও হত্যা করা হয়েছে। তাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে ও জমি-জমা-সম্পদ দখল করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি ট্রাম্পের কাছে নিজেসহ বাংলাদেশের ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা চেয়ে আকুতি জানাচ্ছেন। প্রেসিডেন্টের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়া সাহা আরো অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে এসব নির্যাতন করছে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় মুসলিম মৌলবাদীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রিয়া সাহার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার চরবানিরীর মাটিভাঙ্গা নাজিরপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, থাকতেন রোকেয়া হলে। মহিলা ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি রানা দাসগুপ্ত ও পীযুস বন্দোপধ্যায়ের সহযোগী।
এছাড়া ‘শাড়ি’ নামক একটি এনিজিওর (বেসরকারি সংস্থা) পরিচালকও প্রিয়া সাহা। তার এলাকার দলিত সম্প্রদায়কে নিয়ে কাজ করেন তিনি। সেই সঙ্গে দেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে এই এনজিওর নামে বিদেশ থেকে টাকা আনেন। তার বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন সেটাও বিদেশ থেকে টাকা আনার ফন্দি।