বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঘরে ঢুকে খাটে ঘুমিয়ে পড়ল বন্যার্ত বাঘ!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:৪০ এএম, ২১ জুলাই ২০১৯ রোববার

ভারতের বন্যা কবলিত আসাম রাজ্যে একটি বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে সেই বাড়ির খাটে ঘুমিয়ে পড়ে একটি মেয়ে বাঘ। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বাঘটি স্থানীয় কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক থেকে চলে এসেছে।

ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ওই বাঘিনীকে প্রথম দেখা যায় বৃহস্পতিবার সকালে একটি মহাসড়কের কাছে। ওই জায়গাটি জাতীয় উদ্যান থেকে ২০০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত।

ব্যস্ত সড়কের যানবাহনে বাঘটি হয়তো বিরক্ত বোধ করছিল। তাই মহাসড়কের কাছে অবস্থিত একটি বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে আশ্রয়ের খোঁজে।

 

পরে অবশ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংগঠনের কর্মকর্তারা সেই বাড়িতে যান এবং বাঘটির নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।

বাঘ উদ্ধারের ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া রথিন বর্মণ বলেন, ওই বাঘিনী একটি দোকানের পার্শ্ববর্তী ওই বাড়িটিতে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢোকে এবং দিনের বেলা পুরোটা ঘুমিয়ে কাটায়।

তিনি বলেন, সে ভীষণ ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত ছিল এবং দিনভর একটা ভালো ন্যাপ নিয়েছে সে।

এদিকে ওই বাড়ির মালিকের নাম মতিলাল বলে জানা গেছে। বাড়ির পাশেই তার একটি দোকান রয়েছে। 

বাঘটিকে তার বাড়ির ভেতর ঢুকতে দেখেই তিনি পরিবারের লোকজনকে নিয়ে ভয়ে পালিয়ে যান। বর্মণ বলেন, সবচেয়ে দারুণ বিষয় ছিল যে, কেউ তার বিশ্রামে বাধা দিতে আসেনি। এই অঞ্চলের মানুষদের মাঝে বন্যপ্রাণীর প্রতি ব্যাপক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কাজ করে।

 

মতিলাল বলেছেন, বাঘটি যে বিছানায় শুয়েছিল সেই বিছানার চাদর ও বালিশ তিনি যত্ন সহকারে তুলে রাখবেন।

অন্যদিকে বাঘটিকে জাগিয়ে তোলার জন্য আতশবাজি ফাটানো হয় এবং এক ঘণ্টার জন্য মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বাঘটি শেষপর্যন্ত স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়িটি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর সে মহাসড়ক অতিক্রম করে এবং তাকে নির্দেশ করা নির্দেশনা মোতাবেক জঙ্গলের দিকে রওনা হয়।

 ইউনেস্কোর হিসেবে মতে- কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে ১১০টি বাঘের বসবাস। কিন্তু তাদের একটিও বন্যায় মারা যায়নি। তবে সাম্প্রতিক এই বন্যায় হরিণ, গণ্ডার, বুনো শূকর ও হাতিসহ ৯২টি প্রাণির মৃত্যু হয়েছে।