শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘মাতৃদুগ্ধের ব্যাংক’ চালু করছে মোদি সরকার

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৪৮ পিএম, ২১ জুলাই ২০১৯ রোববার

নবজাতকের মৃত্যুর নানান কারণের মধ্যে মায়ের দুধের অভাব অন্যতম। অপুষ্টি এবং প্রসবকালীন জটিলতার কারণে বিশ্বের নানা প্রান্তে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই সংকট সবচেয়ে বেশি। আর মায়ের দুধের ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সদ্যোজাত শিশুর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র, ভারতের রাজস্থানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন ব্যাংক চালু রয়েছে। সম্প্রতি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংসদীয় এলাকা বারাণসীতে এবার তৈরি হতে চলেছে মাতৃদুগ্ধের ব্যাংক। 

এই মাতৃদুগ্ধ ব্যাংকের ফলে সেখানকার শিশু মৃত্যুর হার কমার আশা করা হচ্ছে। কেননা একজন নবজাতক মায়ের দুধ পান করলে শিশুটি বেঁচে যাবে। এটি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক মাতৃত্ব ও শিশু স্বাস্থ্য শাখার তত্ত্বাবধানে নির্মিত হচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, মাতৃদুগ্ধের ব্যাংক তৈরি হয়ে গেলে মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত হওয়া শিশুরাও মায়ের দুধ পান করতে সক্ষম হবে। 

 

মাতৃদুগ্ধের গুণগত মান পরীক্ষা করছেন ডাক্তার

মাতৃদুগ্ধের গুণগত মান পরীক্ষা করছেন ডাক্তার

মাদার মিল্ক ব্যাংকে একটি বৈদ্যুতিক পাম্প থাকে যার মাধ্যমে দুগ্ধদানে আগ্রহীর কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করা হয়। এরপর এই দুধের মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষা হয়। দুধের গুণমান সঠিক হলে ৩০ মিলিলিটারের ইউনিট তৈরি করে একটি কাঁচের বোতলে রেখে শুন্য দশমিক ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রাখা হয়। মাতৃদুগ্ধ ব্যাংকে এই দুধ ছয় মাসের জন্য সুরক্ষিত থাকে।

 

২০১৮ সালের জুলাই মাসে ইউনিসেফ এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন ‘ক্যাপচার দ্য মোমেন্ট’ এ বলা হয়, জন্মের পর নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানো থেকে বঞ্চিত রাখলে নবজাতকের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ২০১৬ সালেই এই দুই প্রতিষ্ঠানের দ্বারা প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চিন, মেক্সিকো এবং নাইজেরিয়ায় অপর্যাপ্ত মাতৃদুগ্ধের কারণে প্রতি বছর ২ লাখ ৩৬ হাজার নবজাতকের মৃত্যু হয়।

 

যেভাবে সংরক্ষণ করা হয় মাতৃদুগ্ধ

যেভাবে সংরক্ষণ করা হয় মাতৃদুগ্ধ

ইউনিসেফ এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মায়ের দুধ না পেলে শিশুটির জীবনসংশয় হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুদের পর্যাপ্ত মায়ের দুধ না পাওয়া একটি বড় সমস্যা। দেশে এই ধরনের শিশুদের সংখ্যা প্রায় ৪০ থেকে ৪১ শতাংশ, যাদের জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ (বুকের দুধ খাওয়ানো) পান করানো হয়ে থাকে। তবে এই ধরণের মাদার মিল্ক ব্যাংক এসব ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।