বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আমার এলাকায় কোনো মৌলবাদী নেই: গৃহায়ণমন্ত্রী

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:০৪ এএম, ২২ জুলাই ২০১৯ সোমবার

সংখ্যালঘু ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিযোগকারিণী প্রিয়া সাহার বাবার বাড়ি নিজের নির্বাচনী এলাকা নাজিরপুর বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিন বলেন, আমার এলাকায় কোনো মৌলবাদীদের অবস্থান নেই। কাজেই প্রিয় বালার এ ধরনের অভিযোগে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন সে আহ্বান জানাচ্ছি।

রোববার সচিবালযে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমার নিজের গ্রামের বাড়ি নাজিরপুর। নাজিরপুর থানার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা আমি। আমার ইউনিয়নের চর বানিয়ারী গ্রামের প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে কতগুলো অভিযোগ করেছেন। কিন্তু আমার এলাকায় কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক অসম্প্রীতি ঘটেনি। কোনো ধরনের ধর্মীয় নিপীড়নের ঘটনাও ঘটেনি। 

তিনি বলেন, প্রিয়া সাহার বাসা চর বানিয়ারী গ্রামে হলেও এখানে তার নিজস্ব কোনো সম্পত্তি বা বাড়িঘর নেই। তিনি এ গ্রামে বসবাসও করেন না। এ গ্রামে তার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি ও ভাইদের সম্পত্তি রয়েছে। তার ভাই জগদীস চন্দ্র বিশ্বাস একজন অবসারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। বাড়িতে কেউ থাকেন না। একটি পরিত্যক্ত ঘরে রাতে আগুন লাগে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগদীস বিশ্বাসের কেয়ারটেকার কমলেশ বিশ্বাস নাজিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এ অভিযোগে কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেননি, এমনকি কাউকে সন্দেহ করেন এমন কোনো নামও উল্লেখ করেননি বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, এজাহারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য কোনো মৌলবাদীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এমন শঙ্কার কথাও বলা হয়নি। মামলাটি পুলিশ দতন্ত করছে। 

মন্ত্রী বলেন, এছাড়া এ এলাকায় বলেশ্বর নদীতে চর জেগে উঠাই বলেশ্বরের দুই পাড়ের লোকেরা সরকারের খাস জমি দাবি করা নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে অসংখ্য মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে একটি মামলা হয়েছে। সে মামলার বাদী হচ্ছেন কমলেশ বিশ্বাস। এই মামলায় কমলেশ বিশ্বাস হিন্দু-মুসলিম উভয় শ্রেণীর লোককে আসামি করেছেন। সেটা একটা মারামারির ঘটনা। 

তিনি আরো বলেন, কোনোভাবেই আমার এলাকায় প্রিয় বালা সাহা অথবা প্রিয়া বালা বিশ্বাসের বাড়ি ঘর কেউ পুড়িয়ে দেয়নি। তার জমিজামা কেউ নেয়নি।