ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সকাল ৮টায়
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:০৭ এএম, ২২ জুলাই ২০১৯ সোমবার
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। রোববার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব অ্যাডভোকটে শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
সভায় যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের লক্ষ্যে, বিভিন্ন কর্মসূচী প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহ, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, ঢাকাতে ঈদের দিন সকাল ৮টায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে, সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে বাণী প্রদান করবেন। এ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশি বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’ লিখিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোষ্টে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া পবিত্র ঈদুল আজহার দিবাগত রাতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবনসমূহ ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে।
কোরবানি পরবর্তী পশুর বর্জ্য পদার্থ অপসারণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে যে, কোরবানির পশুর বর্জ্য পদার্থ দ্বারা যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধময় না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ কর্তৃক যথাযোগ্য গুরুত্ব সহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার ও সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে। পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে। এ উপলক্ষে সারাদেশে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী হাসান আহমেদ ও ড. মোয়াজ্জেম হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর ও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।