বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিজ হাত কেটে প্রেমিকাকে সিঁদুর পড়ালেন, অতঃপর হত্যা!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:৫৭ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৯ সোমবার

এ ঘটনা যেন রোমাঞ্চকর প্রেমের সিনেমাকেও হার মানায়। নিজ হাত কেটেই রক্ত দিয়ে প্রেমিকার সিথিতে সিঁদুর পরালেন প্রেমিক। দুজনে মিলে তুললেন সেলফিও। এরপর প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করলেন। অবশেষে নিজেও ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলে পড়লেন!

শুক্রবার এই অভিনব হত্যা ও আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের কল্যাণ এলাকায়। এই ঘটনার প্রেমিকের নাম অরুণ গুপ্ত, প্রেমিকা প্রতিভা প্রসাদ। 

জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা অরুণের বয়স ২১। বছরখানেক আগে মুম্বাইয়ের ঘাটকোপারের বাসিন্দা প্রতিভার সঙ্গে ফেসবুকে প্রথম পরিচয় হয় তার।

 

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার আগের দিন বারাণসী যাওয়ার কথা বলে অরুন বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু সেখানে না গিয়ে চলে যান মুম্বাইয়ে। বাড়ি থেকে ডেকে নেন প্রেমিকাকে। এরপর দুজন মিলে মহারাষ্ট্রের কল্যাণ এলাকায় যান। সেখানে একটা গেস্ট হাউসে রুম বুক করেন। আর সেখানেই এই কাণ্ড ঘটায় অরুণ।

গেস্ট হাউসের কর্মীদের বরাতে পুলিশ জানায়, প্রেমিক যুগল ওই দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ চেক ইন করে। এরপর থেকে তাদের আর ঘরের বাইরে দেখা যায়নি। সন্ধ্যার দিকে একবার শুধু পানির জন্য ডাকেন অরুণ।

শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ গেস্ট হাউসের এক কর্মী রাতের খাবারের জন্য অরুণদের ডাকতে যান। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানান।

পরে পুলিশ এসে দরজা ভাঙলে বিছানার উপর প্রতিভার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। আর তার উপরই সিলিং ফ্যানে ঝুলছিল অরুণ। পুলিশ ওই ঘর থেকে একটা রক্তমাখা ব্লেড উদ্ধার করেছে।

 

তবে অরুণ কী কারণে প্রেমিকাকে খুন করলেন এবং নিজে আত্মহত্যা করলেন তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। তবে পুলিশের ধারণা, আজমগড়ে নিজের বাড়িতে প্রতিভাকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন অরুণ। কিন্তু প্রতিভা তাতে রাজি না হওয়ায় তিনি তাকে গলাটিপে হত্যা করেন।