সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ কমেছে: অর্থমন্ত্রী
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:৪২ এএম, ২৩ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের সরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমেছে। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলো সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আনা হয়েছে। বাকি ব্যাংকগুলোও এটি বাস্তবায়ন করবে।
সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সোণালী ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ছিল ৩০.৩৮ শতাংশ। আর ২০১৯ জুনে এসে তা দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশে। জনতা ব্যাংকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৩৭.৩২ শতাংশ। ২০১৯ এর জুনে এসে দাঁড়িয়েছে ৩৫.১৮ শতাংশ। অগ্রণী ব্যাংকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ছিল ২০.২৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের জুনে দাঁড়িয়েছে ১৪. ৫০ শতাংশ।
মন্ত্রী জানান, রূপালী ব্যাংকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১৭.৯২ শতাংশ। ২০১৯ সালের জুনে দাঁড়িয়েছে ১৭. শতাংশ। বেসিক ব্যাংকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৫৭.৫৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের জুনে দাঁড়িয়েছে ৫৮. ২৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৫৬.৫৪ শতাংশ। ২০১৯ সালের জুনে দাঁড়িয়েছে ৫৬.৩৫ শতাংশ।
তিনি জানান, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে কৃষি ব্যাংকের ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১৮.৪৬ শতাংশ। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ছিল ২৩ শতাংশ। তবে এই দুটি ব্যাংকের ডিসেম্বরের পর কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি কিন্তু উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বলে জানান তিনি।
ব্যাংকিং খাতকে আরো জোরদার করতে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা ঋণ খেলাপির মাধ্যমে ত্রুটি বিচ্যুতি তৈরি করেছে, তারা টাকা ফেরত দিতে চাইলে আমরা তা গ্রহণ করব।
কিন্তু যারা টাকা দেশের বাইরে নিয়ে গেছে কিংবা নিজের বালিশের নিচে রেখে দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
সরকারি ব্যাংকে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব ব্যাংকে আমরা সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনব। সিঙ্গেল ডিজিট না হলে খেলাপী ঋণ বাড়ে। ফলে ব্যবসায়ী ও ঋণগ্রহীতা কেউ লাভবান হন না।