ওজন কমাতে গিয়ে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছেন না তো?
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১২:১৩ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার
মেদ বৃদ্ধি বর্তমান যুগে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই অন্যতম বড় শারীরিক সমস্যা। আর এই সমস্যার কারণ হলো অনিয়মিত জীবনযাত্রা, জাঙ্কফুড ইত্যাদি। আর হরমোন বা জিনগত কারণে মেদের সমস্যা তো আছেই। তাই এই মেদ থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই নানা রকম ডায়েট করে থাকেন। আবার দ্রুত ওজন কমাতে গিয়ে অনেকে অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতিও বেছে নেন। এভাবে অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে খাওয়া দাওয়া করে মেদ কমাতে গিয়ে নিজেরই ক্ষতি করে বসেন অনেকেই।
ডায়েটিসিয়ানরা মনে করেন, প্রতিদিন অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে প্রাথমিক পর্যায়ে ওজন কমতে পারে। তবে, এক্ষেত্রে বিপরীত কিছু হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। এক বেলা না খেলে বা একেবারে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিলে ওজন না কমে বরং শরীরের ক্ষতি হয়। এতে ফ্যাট না কমে শরীরের পেশির পরিমাণও কমতে পারে।
কী ক্ষতি হয়?
> অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে শরীরের মেটাবলিজম কমে যায়। এক জরিপে দেখা গেছে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা দিনে ১,২০০ কিলো ক্যালোরির কম খেলে অনেকটাই কমে যায় মেটাবলিজমের পরিমাণ। ফলে, শরীরে শক্তির ব্যবহার কমে যাবে। ফ্যাট বা চর্বি কমবে না। বরং শরীর দুর্বল হয়ে যাবে।
> এছাড়াও আপনি ব্যায়াম থেকে তেমন ফল পাবেন না। আরো হতে পারে আলসার, গ্যাসট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ত্বকের সজীবতা কমে যায়।
এক্ষেত্রে করণীয়?
> 'ডায়েট' শব্দটির অর্থ না খেয়ে থাকা নয়। আপনার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিমিত ক্যালোরির খাবার খান। খাবারের রাখুন কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিনের ভারসাম্য।
> ওজন কমাতে হলে প্রথমেই বাদ দিন জাঙ্ক ফুড, ডিপ ফ্রায়েড খাবার ও কোল্ড-ড্রিংক্স। কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের পরিমাণ রাখুন কমের দিকে। তিন বেলাই খান প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি, ফল, ছোট মাছ, চিকেন ব্রেস্ট।
> আর বিকেলের নাস্তায় খেতে পারেন ছোলা, আমন্ড, মৌসুমি ফলের স্যালাড। সারাদিন বারবার খান, কিন্তু অল্প পরিমাণে খান। এতেই উপকার পাবেন।