বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গোশালায় ১৫৯ গরুর মৃত্যু!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:১৬ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

একটি গোশালায় কমপক্ষে ১৫৯টি গরু মারা গেছে। যথাযথ পরিকাঠামো এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যের অভাবেই গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে। ভারতের একটি সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

দেশটির ত্রিপুরা রাজ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাচারের সময়ে ওই গরুগুলোকে উদ্ধার করেছিল ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফ। পরে এক গোশালায় গরুগুলোকে আটকে রাখা হয়েছিল। দিল্লির এক সংস্থা ওই গোশালা পরিচালনার দায়িত্বে ছিল।

বছর খানেক আগের ঘটনা। বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পাচারের সময়ে ৮৫০টি গরু উদ্ধার করেছিল বিএসএফ। সেই গরুগুলোকে রাখা হয়েছিল শ্রীনগর, কামথানা, কুলুবাড়ি, ফটিকছেড়া, হরিহরডৌলা, কাইয়াঢেপা এবং আরো কয়েকটি বর্ডার আউটপোস্টে। 

 

সে সময় পরিকাঠামোর অভাব থাকায় বিএসএফের পক্ষ থেকে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়। তবে পুলিশেরও তেমন কোনো পরিকাঠামো নেই। পরে আগরতলা থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে সিপাহীজলা জেলার দেবীপুর গ্রামে একটি গোশালা তৈরি করে ধ্যান ফাউন্ডেশন। সেখানেই গরুগুলো ছিলো।
 
সুপ্রিমকোর্টের আগের নির্দেশ অনুসারে উদ্ধার হওয়া গরুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পায় রাজ্য সরকার। গবাদি পশু পাচার রোধে রাজ্য সরকারগুলোকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

ধ্যান ফাউন্ডেশনের গোশালার ভলান্টিয়ার ইনচার্জ জোশিন অ্যান্টনি জানান, ওই গোশালায় যথেষ্ট পরিমাণ গরু রাখার জায়গা নেই। এতে গরুর খাদ্যের ব্যাপক সংকট দেখা দেয়। 

অ্যান্টনি আরো জানান, গরুগুলোর ওষুধ বা পশুচিকিৎসার ব্যাপারে সরকার তেমন কোন সাহায্য করেনি। ৩০০ গরুর আবাসস্থলে রাখা হয়েছে ৭০০ গরু। এগুলোর অধিকাংশই খোলা আকাশের নিচে থাকে। ফলে এ মাসে দু'সপ্তাহের ক্রমাগত বৃষ্টিতে হাইপারথেমিয়ায় ভুগে ৪৫টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। আর ১০৪টি গরু মারা গিয়েছে অপুষ্টি এবং ভগ্নস্বাস্থ্যের কারণে। 

 

এছাড়া অনাহারে থাকা গরুগুলোর খিদে নষ্ট করার জন্য কপার সালফেট এবং স্টেরয়েজ দেয়া হয়েছে। এসব ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় বেশ কিছু গরু এখনো ভুগছে বলেও জানান অ্যান্টনি।