পবিত্র মক্কা-মদিনায় হাইস্পিড ট্রেন, গতি ৩০০ কি.মি
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১২:২০ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার
‘হারামাইন হাইস্পিড এক্সপ্রেস ট্রেন’কে মধ্যপ্রাচ্যের সর্ববৃহৎ গণপরিবহন প্রকল্প হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অথরিটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রামাইহ আল-রুমাইহ।
ট্রেনটি জেদ্দায় মক্কা ও মদিনার পবিত্র শহর এবং রাবিগে বাদশাহ আবদুল্লাহ ইকোনমিক সিটিকে সংযুক্ত করছে। এটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার বেগে চলতে সক্ষম।
১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এ প্রকল্পে মোট ৩৫টি ট্রেন রয়েছে, যার প্রতিটিতে রয়েছে ৪১৭টি সিট। মক্কায় ১৯ হাজার ৫০০ যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ৫০ হাজার ৩০০ স্কয়ার মিটারের প্রধান বন্দরসহ এটির রয়েছে মোট পাঁচটি স্টেশন।
‘আল মদিনা’ আরবি দৈনিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমনটিই জানিয়েছেন আল রুমাইহ।
এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রেনটির টিকিট মূল্য আসলে দূরত্বের ওপর নির্ভর করে। তবে অতিথি ক্লাসের জন্য জেদ্দা থেকে মক্কা পর্যন্ত আমরা টিকিট মূল্য ৪০ রিয়াল এবং ব্যবসায়িক শ্রেণির জন্য ৫০ রিয়াল।
তিনি আরো বলেন, মক্কা থেকে মদিনার টিকিট মূল্য ১৫০ থেকে ২৫০ রিয়াল পর্যন্ত যেতে পারে। বিজনেস ক্লাসের জন্য টিকিটমূল্য ২৫০ রিয়াল পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিটি রেলওয়ে স্টেশনে একটি প্রধান ভবন, আগমন ও প্রস্থান লাউঞ্জ, বিশ্রামাগার, ভিআইপি হল, শপিং প্লেস, রেস্টুরেন্ট, কফি শপ, মসজিদসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
আল রুমাইহ বলেন, এখানে সিভিল ডিফেন্সের জন্য হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং সুবিধা ও অফিস রয়েছে। মদিনায় যে স্টেশনটি করা হয়েছে সেটি মূলত প্রত্নতাত্ত্বিক বিস্ময়কর কারুকার্যে করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি এলিভেটর ও ১২টি এস্কেলেটর রয়েছে, যেটি মসজিদে নববি (সা.) থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
স্টেশনটিতে প্রায় ১ হাজার মুসল্লি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একটি বৃহৎ মসজিদ ও প্রায় ১ হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের একটি লট রয়েছে। পাশাপাশি ৪১৭টি সিসিটিভি ক্যামেরাও রয়েছে এখানে। ট্রেনটি মক্কা ও মদিনার মধ্যে এক ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮০০ যাত্রী এবং জেদ্দা ও মক্কার মধ্যে ১৯ হাজার ৬০০ যাত্রী বহন করতে পারবে। এক বছরে এটি প্রায় ৬০ মিলিয়ন যাত্রী বহনে সক্ষম বলে জানা যায়।
সৌদি আরবের পরিবহনমন্ত্রী ও জেনারেল ট্রান্সপোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান নাবী আল আমুদি বলেন, এটি বছরে প্রায় ৩ থেকে ৪ মিলিয়ন হজ-ওমরাযাত্রীসহ মোট ৬০ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা প্রদান করতে পারবে।
প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৯-এর মার্চে শুরু করে ২০১৮-এর ২৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।