কফি খেলে কি ক্যান্সার হয়?
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:১৯ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার
ক্লান্তি কাটাতে বলুন কিংবা আড্ডা জমাতে, কফির নামটি চলে আসবেই। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়টির নাম কফি। জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এটি নিয়ে নানা গবেষণায়ও। এমনকী নানা মিশ্র ভাবনা রয়েছে কফির সঙ্গে মরণব্যাধি ক্যান্সারকে জড়িয়ে। কফি খেলে কি সত্যিই ক্যান্সারের ভয় থাকে? এমন চিন্তা থাকতে পারে আপনারও। তবে গবেষকদের দাবি, আপনি দিনে কত কাপ কফি পান করেন, তার সঙ্গে কোনো নির্দিষ্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
গবেষকরা বলেছেন, কফি খাওয়ার সঙ্গে ক্যান্সার রোগীদের মৃত্যু বা ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার কোনো যোগ নেই। QIMR-এর নতুন গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। এপিডেমিওলজি নামের আন্তর্জাতিক জার্নালে এমন তত্ত্ব প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন কফি পান করার পরও তাদের ক্যান্সারের সঙ্গে কোনো যোগ তৈরি হয়নি। বরং কফি পানে আপনি ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে পারেন।
ত্বকে মেলানোমা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: কফি ২০% পর্যন্ত মেলানোমার ঝুঁকি কমাতে পারে। গবেষকরা ১০ বছর ধরে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫৭ জন মানুষের স্বাস্থ্য ও ডায়েটিং তথ্য পর্যালোচনা করে দেখেছেন যে, অধিক মাত্রায় কফি পান করার সঙ্গে ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যাওয়ার বিষয়টি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
মলাশয়ে ক্যানসার দমন করে: সম্ভবত কফি সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে মলাশয়ে ক্যানসার বা কোলন ক্যান্সারের জন্য। ২০১৪ সালে প্রায় ৮ হাজার ৫০০ ইসরায়েলি নাগরিকের ওপর গবেষণা করে জানা গেছে যে, প্রতিদিন কমপক্ষে দুই কাপের কাছাকাছি কফি গ্রহণ করলে কোলন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩০% কমে যায়।
স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে: কফি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও দারুণ কার্যকরী। গবেষকরা ৬ হাজারের বেশি পোস্টমেনোপজাল নারীদের স্বাস্থ্য ও ডায়েট তথ্য নিয়ে সমীক্ষা করেছেন। তাঁরা দেখেছেন যে, যেসব নারীরা দিনে কমপক্ষে ৫ কাপ করে কফি পান করেন তাদের ৫৭% ঝুঁকি কমে যায় হরমোন-রিসেপটর-নেগেটিভ ব্রেস্ট ক্যানসারের।
মূত্রথলির ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: মূত্রথলির ক্যান্সার বা প্রস্টেট ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও কফির উপকারিতা প্রযোজ্য। ২০১৩ সালের একটি গবেষণাতে দেখা যায় যে, যারা দিনে চার কাপের বেশি কফি খান তাদের প্রোস্টেট ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি এবং অগ্রগতি ঝুঁকি কমে ৫৯%। এই গবেষণা করা হয়েছিল সেসব পরিবারের ওপর যাদের ক্যান্সার থেকে লড়াই করে বাঁচার ইতিহাস রয়েছে।