মহানায়ক ফ্লপ মাস্টার থেকে সুপারস্টার পথচলা
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:৪১ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৯ বুধবার
সংসারে প্রবল অনটন। তাই প্রথম জীবনে পড়াশোনা শেষ না করেই সংসারের প্রয়োজনে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টে ক্লার্কের কাজে যোগ দিতে হয়েছিল উত্তম কুমারকে। তখনই আহিরীটোলায় নিজেদের থিয়েটার গ্রুপ ‘সুহৃদ সমাজ’-এ নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন তিনি।
থিয়েটার করতে করতেই স্টুডিয়োপাড়ায় ডাক এল। কিন্তু শিকে ছিঁড়ল না একেবারেই। বরং তকমা জুটল ‘ফ্লপ মাস্টার’। এক সময় স্টুডিওপাড়ায় ওই নামেই তাকে চিনত সবাই। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত একের পর এক সিনেমা করলেও সব কটাই ফ্লপ হয়। ১৯৫৩ সালে কামব্যাক করেন ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবি দিয়ে।
যুগলবন্দি ঘরানার অন্যতম উদাহরণ। সত্যজিৎ ও উত্তম। উত্তমকুমারকে ভেবেই ‘নায়ক’ ছবি করার কথা ভেবেছিলেন সত্যজিৎ রায়। ‘নায়ক’ উত্তমের ক্যারিয়ারের ১১০তম ছবি। হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেলর ‘নায়ক’ দেখার পর রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। উত্তমের সঙ্গে দেখা করতেও চেয়েছিলেন তিনি।
অভিনয় ছাড়াও পরবর্তীতে প্রযোজক, পরিচালক, সংগীত পরিচালক ও গায়ক হিসেবেও কাজ করেছেন উত্তম কুমার।‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ ও ‘চিড়িয়াখানা’য় অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
শুধু তা-ই নয়, দু’টি ছোট গল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছিলেন উত্তম কুমার। একটি সুবোধ ঘোষ, অন্যটি তরুণ রায়ের লেখা গল্প অবলম্বনে।
স্ত্রী গৌরী দেবীর মুখের আদলে বাড়ির লক্ষ্মীপ্রতিমার মুখ তৈরি করিয়েছিলেন উত্তম। প্রথম বছর বাড়িতে এসেই সেই মূর্তি তৈরি করেন তিনি। সেই থেকে ওই রীতিই চালু। এই পুজা উত্তমের খুব পছন্দের ছিল।