মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভুল নয়, নবজাতককে গোসল করানোর সঠিক নিয়মটি জানুন।

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:০৩ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৯ বুধবার

নবজাতককে গোসল করাতে গিয়ে অনেককেই হিমশিম খেতে হয়। নবজাতকের যত্নের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কাজটি হলো তাকে গোসল করানো। নানি-দাদিরা অভিজ্ঞ হওয়ায় অনেকটাই সামলে নিতে পারেন কিন্তু সদ্য মা-বাবা হয়েছেন এমন মানুষের জন্য এটি বেশ কঠিন কাজ। তবে কিছু উপায় মেনে চললে এই কঠিন কাজটি হয়ে উঠবে একদম সহজ। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই উপায়গুলো-

১. সদ্যোজাত শিশুর ত্বক খুবই সংবেনশীল হয়, তাই শিশুকে কখনোই সপ্তারে ২-৩ দিনের বেশি গোসল করাবেন না। সদ্যোজাত শিশুর প্রতিদিন গোসল করার কোনো দরকার পড়ে না। নাড়ি ঝরে পড়ে না যাওয়া পর্যন্ত স্পঞ্জ বাথ দিলেই হবে।

২. এক্ষেত্রে শিশুকে কোনো সমান উষ্ণ জায়গায় শুইয়ে নিন। তারপর ভেজা কাপড় দিয়ে হালকা করে সারা গা মুছে নিন। যখন যে অংশটা মোছাবেন, সেটাই শুধু খুলে নিন। নাহলে ঠান্ডা গেলে যেতে পারে।

 

৩. স্পঞ্জ একদম কনকনে ঠান্ডা বা বেশি গরম পানিতে ভেজান না। বরং হালকা গরম পানিতে পাতলা কাপড় বা স্পঞ্জ ভিজিয়ে সারা গা মোছাবেন।

৪. বেশি সময় ধরে শিশুকে গোসল করালে তার ঠান্ডাসহ আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শিশুকে কখনোই ৫-১০ মিনিটের বেশি গোসল করাবেন না। প্রথমে মুখ, তারপর শরীরের অন্য অংশে পানি দিন।

৫. নবজাতকের ত্বক অনেক বেশি কোমল হয়। সাবানে ক্ষারীয় উপাদান অনেক বেশি থাকে। তাই সদ্যোজাত শিশুর শরীরে সাবান নয়, হালকা বডি ওয়াশ ব্যবহার করুন। এতে শিশুর ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি ভালো থাকবে।

৬. নবজাতককে গোসল করানোর আগে অবশ্যই পানির তাপমাত্রা নিজে হাত দিয়ে দেখে নিন। বেশি গরম বা ঠান্ডা পানিতে কখনোই শিশুকে গোসল করানো উচিত নয়।