বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক আলু সেন্টার হবে: কৃষিমন্ত্রী
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:৪৩ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক আলু সেন্টার হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আলু একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। উৎপাদনের দিক থেকে ধান, গম ও ভুট্টার পরেই চতুর্থ স্থানে আছে আলু। সর্বত্রই এর চাষ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়ার ফলে নতুন করে দেশের বেশ কিছু জেলাতে এর চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে।
বৃহস্পতিবার কৃষিমন্ত্রী তার কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্রের (আপিসি) আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ড. ইউ.এস সিং এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন। এ সময় আলুর লেইট ব্লাইট রোগে নিয়েও কথা হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে হলে সে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আলু উৎপাদন করতে হবে। আমাদের চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদিত আলু নিয়ে কাজ করতে হবে। এর প্রক্রিয়াজাত করে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে, পাশাপাশি আলুর বহুবিধ ব্যবহারও করতে হবে।
ড. ইউ.এস সিং বলেন, ভারতেও আলুর অন্যতম সমস্যা লেইট ব্লাইট রোগে। এর পরেও ভারত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম চিপস রফতানিকারক দেশ। আই.পি.সি চাচ্ছে বাংলাদেশে একটি কেন্দ্র স্থাপন করতে। যেহেতু পূর্ব এশিয়ায় তেমন আলু চাষ হচ্ছে না।
আলুর জাত উন্নয়ন ও প্রক্রিয়াজাত করে রফতানির জন্য আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্রের সহায়তা চেয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই, কিভাবে আলুর জাত উন্নয়ন ও তা প্রক্রিয়াজাত করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করা যায় সে ব্যাপারে।
অনুকূল আবহাওয়া ও মাটির কারণে কিছু জেলায় আলুর প্রায় ৩০টি জাতের চাষ ব্যাপকভাবে হয়। বিগত বছর আলুর উৎপাদন আমাদের চাহিদার চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ টন বেশি হয়েছে। এছাড়াও পুষ্টিমান সম্পন্ন মিষ্টি আলুর চাষ হচ্ছে আমাদের দেশে। এ খাতে বাংলাদেশকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আক্রান্ত এলাকার কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজ দেয়া হবে, এর জন্য ১২০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এছাড়া আবার বন্যা হলে কি করণীয় তারও প্রস্তুতি নেয়া আছে।